নীতি পুলিশ বিলুপ্ত করেছে ইরান
ইরানে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে দেশটির কর্তৃপক্ষ বহুল আলোচিত ও সমালোচিত নীতি পুলিশ ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
৩সেপ্টেম্বর, নিতি পুলিশ রাজধানী তেহরানে এক কুর্দি মেয়ে মাসা আমিনি (২২) কে কঠোর নিয়ম মেনে হিজাব না পরার জন্য গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ইরানের মানুষ মাসা নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে দাবি করে রাস্তায় নেমে আসে। মাসার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইরান জুড়ে। ইরানি কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমনে দমন-পীড়ন জোরদার করেছে। এখন দেশটির কর্তৃপক্ষ নীতি পুলিশ বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছে।
দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজেরির বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থাগুলো এ খবর প্রকাশ করেছে।
জাফর মনতাজেরি শনিবার রাতে বলেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে নীতি পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা বিলুপ্ত করা হয়েছে।
ইরানে পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যুতে দেশটির বাইরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আমিনীর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল তুরস্কের ইস্তাম্বুলেমানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শত শত বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দেশটির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ গতকাল প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে সেপ্টেম্বর থেকে ইরান জুড়ে চলমান অস্থিরতায় ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
