প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন শি- বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ভালোভাবে চেনেন। তাদের মধ্যে সব সময় সরল আলোচনা হতো। তবে, বিডেন মন্তব্য করেছেন যে তাদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (১৩ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন এ কথা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর জোর দেবেন।
তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাইডেন এবং জিন পিং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একে অপরকে চেনেন। তবে সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন এই দুই নেতা।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছেন যে বাইডেন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচিতে প্রভাব বিস্তারের জন্য চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন। উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেবেন বাইডেন। দেশটি শীঘ্রই সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটিক নেতা ক্যাথরিন কর্টেজ মাস্তো নেভাদায় জয়ী হওয়ার খবরে বিডেন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। “আমি জানি আমি শক্তিশালী হয়ে উঠছি,” ।
রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গেও দেখা করেন বাইডেন। তারা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির হুমকি নিয়ে আলোচনা করেন।
চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র পিয়ংইয়ং। এ কারণেই চীনের সঙ্গে আলোচনায় উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করার ওপর জোর দেবেন বাইডেন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকেও প্রভাবিত করবে।