দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যালোইন পদদলিত ১৫৩ জন নিহত, রাষ্ট্র নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন
পুরো শহর হ্যালোইন উদযাপন করছিল। তবে হ্যালোউইনের (শোধিত সন্ধ্যা বা পবিত্র সন্ধ্যা= খ্রিস্টীয় ধর্ম মতে আত্মাদের আগমনের রাত) আগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হ্যালোইন উৎসব চলাকালে প্রচণ্ড ভিড়ে পদদলিতের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৯৭ জন নারী ও ৫৪ জন পুরুষ। তবে তাদের মধ্যে কোনো শিশু রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। আহতও হয়েছেন শতাধিক।
সিউল হ্যালোইন উদযাপন করছে. দুই বছর লকডাউনের পর এ বছর উৎসবে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই হ্যালোউইন নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছিল। তারাও দুই বছর পর উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
শনিবার সিউলের ইটাওয়ান জেলার একটি বাজারে লক্ষাধিক লোকের ভিড়। সরু গলিতে এত মানুষের থাকার জায়গা ছিল না। একে অপরকে টপকানোর জন্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই ভিড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বহু মানুষ। পদদলিত ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
প্রথমে ৫০ জনের নাম জানা গেলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দেড়শো। তবে এই তাড়াহুড়ো ও পদদলিত হওয়ার কারণে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
এই ঘটনার পর ওই বাজার এলাকার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে কিছু শীতল লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেশ কয়েকজন মৃত ব্যক্তিকে সিপিআর দিতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন একাধিক বিশ্ব নেতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন টুইট করেছেন, জিল এবং আমি সিউলে যারা তাদের পরিবার হারিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও টুইট করে তার শোক প্রকাশ করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংহতির বার্তা দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেছেন।