জনগণ জেগে উঠেছে, সরকারের পতন অনিবার্য: খুলনার সমাবেশে মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ জেগে উঠেছে, সরকারের পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই এই ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার (২২ অক্টোবর’২২) বিকেলে খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়ে সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত দলের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে দেশে কোনো নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। কারণ এই সরকার জানে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের একটা চিহ্নও থাকবে না, ১০টি আসনও পাবে না।’
শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেননি। সংসদ ভেঙে দিন। সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন । কারণ এদেশে আপনাদের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না, সে কারণে জনগণ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, গত তিন দিনে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। চুকনগরে বিএনপির নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ, কেশবপুরে গুলিবিদ্ধ ১৫ জন, মংলা থেকে আসার পথে কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়ায় শতাধিক নেতাকর্মী। খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী থানার নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। বাগেরহাটে প্রায় ৭০ নেতাকর্মী আহত, ৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ ও ৭ নম্বর ঘাটে ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়া হয়, খুলনা রেলস্টেশনে নেতাকর্মীদের হামলা হয়। গাজীরহাটে পানিতে ডুবে এক শ্রমিকের মৃত্যু হলেও তার সন্ধান মেলেনি। রূপসা ঘাটে হামলা হয়েছে, জেলখানা ঘাটে হামলা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা। বক্তৃতার মাঝে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি চেয়ারে বসে ভাষণ দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, ইশরাক হোসেন, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, হেলেন জেরিন খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।