চাঁদে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মানুষের মধ্যেই আদিকাল থেকেই । পৃথিবীর প্রতিবেশী এই উপগ্রহটিতে প্রথম ১৯৬৯ সালে মানুষ ভ্রমণের সুযোগ পায়। এরপর ‘স্পেস ট্যুরিজম’-এর বাণিজ্যিকীকরণ শুরু হয় এবং চাঁদ আবার আলোচনায় আসে। বিভিন্ন কারণে যারা ছুটিতে চাঁদে যেতে পারছেন না, তাদের অনেকেই হয়তো দুবাই বেড়াতে যেতে পারেন। কারণ সেখানে ‘মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট’ তৈরি করা হচ্ছে। সেই হোটেলেই পাওয়া যাবে ‘মুন টাচ’। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীতে ‘আসছে’। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, দুবাইতে একটি চাঁদ-স্টাইল রিসোর্ট তৈরির পরিকল্পনা চলছে। দূর থেকে চাঁদ দেখার মতোই মনে হবে এই রিসোর্টটিকে ।
প্রস্তাবিত ‘মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা কানাডা-ভিত্তিক উদ্যোক্তা মাইকেল আর হেন্ডারসন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ এটি পছন্দ করবে।’
তবে এ ধরনের প্রকল্পের ‘প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ’ অনেক বলে মনে করেন তিনি। তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়।
বলাই বাহুল্য, এই প্রস্তাবিত রিসোর্টটি ব্যয়বহুল হবে। ডিজাইনও হবে অত্যাধুনিক। এতে থাকবে কনভেনশন সেন্টার, রেস্তোরাঁ, স্পা সেন্টার ইত্যাদি। তবে সবকিছুতেই থাকবে ‘চাঁদের ছোঁয়া’।
হেন্ডারসনের ভাষায়’এখানে হাঁটলে হবে যেন চাঁদের বুকে হাঁটছেন।’ অবকাঠামোর কাজ শুরুর আগেই প্রকল্পের অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। এই ধরনের প্রকল্পের জন্য দুবাইকে সেরা বলে মনে করা হয়। তবে নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর এর অবস্থান চূড়ান্ত করা হবে।
এই প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতাদের ইচ্ছা এমন ডিজাইনের রিসোর্ট হবে ৪টি—একটি উত্তর আমেরিকায়, একটি ইউরোপে, একটি উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ও অপরটি এশিয়ায়। ‘মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট’ অর্থের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে লাইসেন্স দেবে। এই কোম্পানি দুবাইতে তাদের রিসোর্ট স্থাপন করে একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চায়। হেন্ডারসন উল্লেখ করেছেন যে দুবাই এখন ‘খুব জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য’ এবং সেখানে অনেক ব্যয়বহুল প্রকল্পের কাজ চলছে।
স্যান্ড্রা এবং হেন্ডারসনের ‘চাঁদে’ হাঁটার সুখ পেতে অতিথিদের জনপ্রতি খরচ হতে পারে ৫০০ ডলার। ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি এই বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু করলে, এটি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হতে পারে।