আমাদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার আমলে চাপে পড়ে ভয়ে থাকা সনাতন হিন্দু নেতারাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এবং নির্ভয়ে এখন সত্য বলে দিচ্ছেন। আসলে ব্যাপারটা হলো সত্য কখনো সারা জীবন চাপা পড়ে থাকে না। হাসিনার পলায়নের পরেই সবকিছু আস্তে আস্তে বের হয়ে আসছে।
শেখ হাসিনা আমাদের তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে আমাদের আস্থা ভঙ্গ করেছেন। এখন আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরও তাঁর ও তাঁর দলের প্রতি আস্থা ছিল না। গত শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও কলাপাড়া চৌকি আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নাথুরাম ভৌমিক হিন্দু অধ্যুষিত চিঙ্গারিয়ায় অবস্থিত রাধাগোবিন্দ ও চিঙ্গারিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটি আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ এসব কথা বলেন। শহরের এলাকার চিঙ্গারিয়া রাধাগোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুখরঞ্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন সিকদার। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ফারুক, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন সিকদার বলেন, কেউ যদি বিএনপি বা দলের নামে বদনাম করে হিন্দু ভাইদের ক্ষতি করতে আসে তাহলে তাদের বেঁধে দিতে হবে। ভবিষ্যতে আপনারা আগের চেয়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করবেন। আমরা আপনাদেরকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করব।’ তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এরই মধ্যে যদি কোনো সুবিধাভোগী, টাউট ও দুর্বৃত্তরা গোপনে ভয় দেখিয়ে আপনাদের কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে আমাকে জানাবেন। আমি কথা দিচ্ছি, আমি তার পাঁচগুণ টাকা আদায় করে দেব। আমি মনে করি এই দেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই সবাই আমরা বাংলাদেশী।
আপনারা এদেশে জন্মেছেন, আপনারা এদেশের নাগরিক। এই দেশের প্রতি আপনাদের মমতা ও ভালোবাসা আছে। সাগরপাড় শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই, আপনারা এবং আমরা একসঙ্গে সুন্দর ভাবে বসবাস করতে চাই।