November 10, 2024
শেখ হাসিনা হিন্দুদের ওপর চেপে বসে সংকট উত্তরণের চেষ্টা করেছেঃ হিন্দু মহাজোটের সভাপতি

শেখ হাসিনা হিন্দুদের ওপর চেপে বসে সংকট উত্তরণের চেষ্টা করেছেঃ হিন্দু মহাজোটের সভাপতি

শেখ হাসিনা হিন্দুদের ওপর চেপে বসে সংকট উত্তরণের চেষ্টা করেছেঃ হিন্দু মহাজোটের সভাপতি

শেখ হাসিনা হিন্দুদের ওপর চেপে বসে সংকট উত্তরণের চেষ্টা করেছেঃ হিন্দু মহাজোটের সভাপতি

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণিক বলেছেন, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করছে। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যখনই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে পড়েন, তিনি হিন্দুদের কাঁধে চেপে সংকট থেকে মুক্তির চেষ্টা করেন। বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি ভারতের কিছু নেতার আশ্বাসে উত্তরবঙ্গের কিছু হিন্দু সীমান্তে গিয়ে নিজেদের জমায়েত করেছে। তারা সেখান থেকে একটি ভিডিও নিয়ে ফেরত পাঠায়। তারা এই দুই থেকে তিন দিন ধরে সীমান্তে অবস্থান করছে, তাদের পানি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু একজন ভারতীয় নেতা বলেছেন- আমরা ভারতে এক কোটি মানুষকে উদ্বাস্তু হিসেবে নেব। আর তিনি এই উসকানি দিয়েই এসব করছেন।

গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, এখন আবার কিছু নিরীহ হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগ নিয়ে কিছু দুর্বৃত্ত তাদের বাড়িঘর ঘিরে টাকা-পয়সা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই করছে। এদিকে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

সেখানে একজন বিএনপি নেতার কথা বলে ডাকাতি করেছে। এরপর তাদের আটক করার পরে দেখা গেল আওয়ামী লীগের কর্মী। আরেকটি জায়গায় একজন প্রতিমা ভাঙতে গেছে, তাকে হাতে-নাতে ধরার পরে দেখা যায় তার গায়ে বিএনপি’র একটি জার্সি। পরে ভিডিও ফুটেজে তার বক্তব্যে দেখা যায়, তাকে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা টাকা দিয়ে বিএনপি সাজিয়ে পাঠিয়েছে।

একটি গ্রামের বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা হয়েছে, তারা নিজেরাই বর্ণনা করেছেন যে, অমুক অমুক সদস্য ও তার লোকজন এসে আমাদের বাড়িতে হামলা করেছে। তারা আওয়ামী লীগের লোক। তিনি বলেন, আজকের ঘটনা শুধু নয়। আপনি যদি দেখেন, ১৯৯২ সালে, বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরের প্রায় সবগুলো মন্দির ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে। সেই ঘটনার বর্ণনা করেছে শেখ হাসিনার তৎকালীন ব্যক্তিগত সহকারী মতিউর রহমান রেন্টু। তার ডায়েরি পরে বই আকারে প্রকাশিত হয়। সেখান থেকেই জানা যায়। ‘আমার ফাঁসি চাই’ নামের ওই বইয়ে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালে সার্ক সম্মেলন উপলক্ষে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন। এ সময় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা রেন্টুকে বলেন- ‘তোমরা সারা দেশে হিন্দু-মুসলিম সংঘাত সৃষ্টি কর। সার্ক সম্মেলন হতেই হবে।’ এ নিয়ে তর্ক করার পরও রেন্টুকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর ঢাকার প্রতিটি এলাকার মাস্তান, চাঁদাবাজ ও ডাকাতদের টাকায় মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বইটিতে রেন্টু নিজেই বলেছেন- ‘শেখ হাসিনা হলেন পরিকল্পনা ও পথপ্রদর্শক’।

হিন্দু মহাজোটের এই নেতা বলেন, পরবর্তীতে কুমিল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের অনেক জেলায় শত শত মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পরিচালক শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এমপি বাহার। সে সময় প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ হিন্দু নিহত হয়। শত শত মন্দির ধ্বংস করা হয়। শাল্লার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতারা গ্রাম জ্বালিয়ে দেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্যোগে কক্সবাজারের রামু, নাসিরনগরে বৌদ্ধ মন্দির পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া রংপুরের পীরগঞ্জে যশোরের অভয়নগরসহ একটি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়, সেখানে যুবলীগ নেতাকে হাতেনাতে ধরা হয়।

আরও পড়তে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X