অন্তত ২ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
কয়েক দিনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের অন্তত দুই হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যেভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন করেছে, ইন্টারনেট বন্ধ করে তাদের ওপর কারফিউ জারি করেছে, তার প্রকৃত তথ্য আমরা পাচ্ছি না। অনেক মানুষ নিহত হয়। আহতদের প্রকৃত তথ্য না দিয়ে সরকার এখন পর্যন্ত যা দিচ্ছে, তা বিভ্রান্তিকর। আমাদের কাছে এখনই সম্পূর্ণ তথ্য নেই। আমাদের পার্টি অফিস ক্রাইম সিন দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অভিযানের নামে অফিসে তছনছ করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা কাজ করতে পারছি না। আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত ২ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।
বিএনপি নাশকতার সঙ্গে যুক্ত বলে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মূল সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করেছে। সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেনি। সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে এসব পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। যে রায় টা সরকার আদালতের মাধ্যমে করিয়ে নিয়েছে এটা আরও আগে আনতে পারতো। রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া এটার সমাধান হবে না।
তিনি বলেন, “নিজের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অন্যের ঘাড়ে চাপাতে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের এটি একটি নোংরা অপকৌশল ও ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। মিথ্যাচার, অপরের ওপর দোষারোপ ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণাই হলো আওয়ামী চরিত্রের ভূষণ। অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাস চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করার মাধ্যমে তা মেরামতের নামে দুর্নীতির রাস্তা প্রশস্ত করছে বলে জনগণ মনে করে। সরকার এখন নিজেদের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাস ধামাচাপা দিতে বিদেশীদের কাছে মায়াকান্না শুরু করেছে।”
সরকারের দমন-পীড়ন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।