মির্জা ফখরুল মির্জা আব্বাসদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেবার হুমকি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের
মিস্টার ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের চেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় কর্ণধার কিন্তু তার কথায়, তার বিবৃতিতে, তাচ্ছিল্য কর ভাষায় খুবই স্বাভাবিকভাবে এটা আঁচ করা যাচ্ছে যে,অনেকদিন ধরে রাখা ক্ষমতা হারানোর মায়াবী চিন্তায় দিকবিদিক শূন্য হয়ে এত শক্তিশালী একটি দলের হাই কমান্ড কি ফলো করছেন না বলেই বাংলাদেশের সচেতন জনগণ মনে করছে । তাই মুখ দিয়ে যা আসছে অনেকটা বিভ্রান্তে র মত তাই বলে দিচ্ছে ।
ওবায়দুল কাদের (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৫২) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও ৪ বারের এমপি । তিনি শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২৩ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে, তিনি ২০১৯ সালের ২১ তম সম্মেলনে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ -এ তিনি ২২ তম কংগ্রেসে টানা তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হন। রাজনীতি ছাড়াও তিনি দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেই ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের মাথায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে। বিএনপির কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে লাফাবে, মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।’
রাজধানীর গাবতলীতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। সড়কের মাঝখানে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা-নবীনগর মহাসড়কের একপাশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বিএনপি নেতাদের আন্দোলন কর্মসূচির হুমকি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইউরেনিয়ামের দুটি চালান এসেছে। যা পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলোঝলমলে পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈনুদ্দিন খানের (মঈন খান) অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায়, সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন আহমেদের (মঈন খান) মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়…। যে লাফাবে, মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।’
বিএনপির ঢাকা অবরোধ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,‘কবে আসবেন, ডেটটা (তারিখ) দেন না! ডেট দেন, লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। আমরা প্রস্তুত।’
ওবায়দুল কাদের সাম্প্রতিক সভাগুলোতে বক্তৃতার কোনো এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার অর্থে ‘খেলা হবে’ শব্দ বলেছেন ওবায়দুল কাদের। আজ আবারও তিনি বলেন, ‘জানুয়ারিতে ভোট হবে। ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল। ভোট হবে, খেলা হবে। খেলা ছাড়া উপায় নেই বিএনপির সঙ্গে। বিএনপির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সারা বাংলায়, সারা ঢাকায় খেলা হবে। জোরে জোরে খেলা হবে। ফাউল করলে লাল কার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড।’
মঞ্চে মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমতো মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে।’
দেশের মানুষের খেতে কষ্ট হবে না বলে আশ্বাস দিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, জনগণের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম। কিভাবে খাওয়াবেন, কিভাবে পরাবেন? জিনিসপত্রের দাম বেশি।কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মূল চিন্তা ‘আমি খাব না তবু মানুষকে খাওয়াব’। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।
সদিচ্ছায় জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেবের কি প্রতি সদয় পরামর্শ রইল। আপনি একটি বড় এবং চৌকস রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সেই দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি। অবশ্যই আপনার কথা কোন মঞ্চে বলার আগে দলীয় ফোরামে রিভিউ করে আসবেন । আল্লাহ হাফেজ ভালো থাকবেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, ভালো রাখবেন দেশ , ভালোবাসবেন গণতন্ত্র , ভালোবাসবেন স্বচ্ছতা এটাই সবার প্রত্যাশা।