October 31, 2024
দাবি আদায়ে আবারও হরতাল অবরোধের দিকে বিএনপি

দাবি আদায়ে আবারও হরতাল অবরোধের দিকে বিএনপি

দাবি আদায়ে আবারও হরতাল অবরোধের দিকে বিএনপি

দাবি আদায়ে আবারও হরতাল অবরোধের দিকে বিএনপি

‘ডু অর ডাই’ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এই সরকারের পতনে হরতাল-অবরোধ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা এখনো ধর্মঘটে যাইনি। তবে আমরা  প্রতিজ্ঞাও  করিনি যে আমরা তা   করব না। তাই দাবি আদায়ে আবারও হরতাল অবরোধের দিকে বিএনপি ।

এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করছে বিএনপি। দেশব্যাপী সমাবেশ ও রোডমার্চ কর্মসূচির পর রাজধানী ঢাকাকে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চায় দলটি। এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘেরাও, গণঅবরোধ, ধর্মঘট, এমনকি ‘অসহযোগ’-এর মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার কথা ভাবা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি ও আশপাশের জেলার সব স্তরের নেতা-কর্মীদের পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আগে কোনো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি ও জোট।

দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলায় বিএনপির সব ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ প্রায় শেষ। আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জনসভা থেকে ‘একদফা দাবি’ মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেবে সরকারকে । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে শেষ দফা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল।

কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অনেক রোডমার্চ ও সমাবেশ করেছি। আর রোডমার্চ হবে না। এখন থেকে সবকিছু ঢাকায় হবে। রাজধানীতেই সরকারকে উৎখাত করতে হবে। দুর্গাপূজার আগে আমরা কোনো কঠোর কর্মসূচিতে যাবনা, তবে এর মধ্যে সরকার পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে জনগণ সেই ক্ষমতা দখল করবে।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছাড়াও সমমনা জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক সম্পন্ন করেছে দলটি। আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির এসব বৈঠকে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাস্তবায়ন নিয়ে চলমান আন্দোলনের শেষ পর্যায়ের কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বিরোধীদের পক্ষে থাকলেও আন্দোলনের ফল ঘরে তুলতে রাজপথে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে বলে একমত শীর্ষ নেতারা। সেক্ষেত্রে আন্দোলনের ধরন, “লড়ব না হয় মরব” নীতির মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়া নিয়ে সবাই মত প্রকাশ করেন। এ ছাড়া ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এই আন্দোলনকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য ‘ জীবন-মরণ সংগ্রাম’ হিসেবে নিয়েছে। সেজন্য সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এদিক ওদিক ঘুরে কোনো লাভ হবে না। সরকারের সময় শেষ। উল্টাপাল্টা,  তলে উপরে   কিছুই কাজ করবে না তাদের । তাদের বিদায় জানাতে হবে। মানুষের ধৈর্য্যের সীমা ও সময় এখন শেষ। তাদের মুক্তির অপেক্ষায় এখন সর্বস্তরের মানুষ। আমি আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হবে। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, “রাজনীতিতে এটা খুবই কঠিন সময় যাচ্ছে। এটা সরকারের জন্য খুবই বিপজ্জনক। সরকারের হঠকারী মনোভাব অবিলম্বে এড়ানো না গেলে। এটা দেশের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।” কোনো অভিনব কথা বললে চলবে না। কারণ জনগণ আসলেই এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জানা গেছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ব্যর্থতার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেআন্দোলন।  এই আন্দোলনের শেষ পর্বের সব কর্মসূচি রাজধানী ঢাকায় সাজানো হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকায় শক্তিশালী আন্দোলন ছাড়া এই সরকারের পতন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা। অতীত আন্দোলনের কথা মাথায় রেখে এবার রাজধানীকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আমরা এতদিন ধর্মঘটেও যাইনি। কিন্তু হরতাল বা ধর্মঘট না করার প্রতিশ্রুতিও  দেইনি। তাই জনগণের চাপে হরতাল-অবরোধ থেকে যা যা দরকার… এই অচল সরকারকে মাটিতে ফেলার জন্য সে ধরনের কর্মসূচিই দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন

সরকারের পতন নিশ্চিত করতে কঠোর ও চূড়ান্ত আন্দোলনের পথে বিএনপি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এক রাতেই আ.লীগকে শেষ করে দেবে: ভীত-সন্ত্রস্ত ক্ষোভে ওবায়দুল কাদের

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এই আন্দোলনে আমরা হয় লড়ব না হয় মরব। জনগণ এখন রাজপথে, সরকারের  পদত্যাগ ছাড়া রাজপথ ছাড়বে না।

আমাদের উপর অত্যাচার চলছে। আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না। তিনি বলেন, দেশে এখন সব কিছুর দাম বাড়ছে। শুধু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দামই কমছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X