Customize Consent Preferences

We use cookies to help you navigate efficiently and perform certain functions. You will find detailed information about all cookies under each consent category below.

The cookies that are categorized as "Necessary" are stored on your browser as they are essential for enabling the basic functionalities of the site. ... 

Always Active

Necessary cookies are required to enable the basic features of this site, such as providing secure log-in or adjusting your consent preferences. These cookies do not store any personally identifiable data.

No cookies to display.

Functional cookies help perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collecting feedback, and other third-party features.

No cookies to display.

Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics such as the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.

No cookies to display.

Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.

No cookies to display.

Advertisement cookies are used to provide visitors with customized advertisements based on the pages you visited previously and to analyze the effectiveness of the ad campaigns.

No cookies to display.

April 1, 2025
ছাত্রলীগ নেতাদের পিটিয়ে দাঁত ফেলে দিয়ে ধরা খেলেন এডিসি হারুন: হলেন সাময়িক বরখাস্তঃ নেপথ্যে…নারী?

ছাত্রলীগ নেতাদের পিটিয়ে দাঁত ফেলে দিয়ে ধরা খেলেন এডিসি হারুন: হলেন সাময়িক বরখাস্তঃ নেপথ্যে…নারী?

ছাত্রলীগ নেতাদের পিটিয়ে দাঁত ফেলে দিয়ে ধরা খেলেন এডিসি হারুন: হলেন সাময়িক বরখাস্তঃ নেপথ্যে...নারী?

ছাত্রলীগ নেতাদের পিটিয়ে দাঁত ফেলে দিয়ে ধরা খেলেন এডিসি হারুন: হলেন সাময়িক বরখাস্তঃ নেপথ্যে…নারী?

দেশ যখন পুলিশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা যখন পুলিশী ব্যবস্থার একটি অংশ হয়ে যায়।  তখন অস্ত্রধারী এই বাহিনী নিজেদেরকে দেশের সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক মনে করে ।  তারই ধারাবাহিকতায় আকাম-কুকামে মাঝে মধ্যে ক্ষমতাসীন অঙ্গ সংগঠনগুলোর সাহায্য নিয়েছে মাত্র । এবং সেই সুবাদে পুলিশ যখন তাদের স্বার্থেই  ক্ষমতাসীনদের উপরে চড়াও হয় তখন ক্ষমতাশীনদের কিছু করার থাকে না।

ক্ষমতার গোধূলি লগ্নেই যদি এই অবস্থা হয়।  ক্ষমতা থেকে অন্ধকারে চলে যাওয়ার পর কি অবস্থা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।  আল্লাহ আমাদেরকে যার যার স্থানে যতটুকু ক্ষমতা আছে তার যথাযথ সুবিচারমূলক প্রয়োগের তৌফিক দান করুক । আমিন।

দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন। মোস্তাফিজুর রহমান। সাময়িকবরখাস্তের সময় তিনি পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

এর আগে বিকেলে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন   বলে জানান  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে এডিসি হারুনসহ কয়েকজন পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার কারণে তাকে প্রথমে পিওএম এবং পরে এপিবিএনে বদলি করা হয় রোববার।

সরে জমিনে যা ঘটেছিলঃ

পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদ সহকর্মী, রাজনৈতিক দল-সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী, সাংবাদিক, ছাত্রদের মারধর করে বিভিন্ন সময় আলোচিত হন। শনিবার রাতে তিনি ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধর করে আবারও আলোচনায় আসেন। কিন্তু এবার শাস্তির মুখে পড়তে হলো ৩১তম বিসিএসের এই পুলিশ কর্মকর্তাকে। শনিবার রাতের ঘটনার পর গতকাল তাকে রমনা থেকে প্রত্যাহার করে এপিবিএনে পদায়ন করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, তিনি যে অপরাধ করেছেন সে অনুযায়ী শাস্তি হবে। দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা। হারুনের বরখাস্ত দাবি করেন তারা। শনিবার রাতে নারী সম্পর্কের  একটি সূত্রে এ ঘটনা ঘটে। এডিসি হারুন পুলিশ ক্যাডারের আরেক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন এমন খবর পেয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে আসেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।

মারধরের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে  বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করার ছবি প্রকাশ হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের চিত্র দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি জানান তারা। যে নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তার স্বামী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপতির এপিএস হিসেবে কর্মরত।

আহতরা বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হারুনের বর্বরতার শিকার দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক  ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক মো.শরীফ আহমেদ মুনিম।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের (৩৩তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার) ৩১তম ব্যাচের এক কর্মকর্তার স্ত্রীর সঙ্গে এডিসি হারুনের ঘনিষ্ঠতা থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। হারুন নিজে ৩১তম বিসিএসের একজন পুলিশ কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন হারুনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সঙ্গে স্ত্রীর দূরত্ব বেড়ে যায়। বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে মীমাংসার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এডিসি হারুন বিষয়টি  ত্যাগ না করায় কোনো সমাধান হয়নি।

গত শনিবার রাতে বারডেমে হারুনের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ওই কর্মকর্তার স্ত্রী আড্ডা দিচ্ছেন এমন খবরে ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন নাঈম শরীফ আহমেদ মুনিমসহ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় হারুনের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাও এতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ছাত্রলীগ হারুনের ওপর হামলা চালালে সে শাহবাগ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে যায়। পরে আরেক নেতা সেখানে যান। এরপর থানায় ওসির কক্ষে তাদের ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। হারুন নিজেও মারধরে অংশ নেন বলে জানা গেছে। নাইম হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেল। নির্যাতনের সময় নাঈমের বেশ কয়েকটি দাঁতও পড়ে যায়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নাঈমের চিকিৎসা চলছে। তবে মুনিমের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

এদিকে দুই শীর্ষ নেতাকে মারধরের খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হতে থাকে। এ সময় শাহবাগ থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান শাহবাগ থানায় হাজির হন। রমনার ডিসিও সেখানে আসেন। তিন পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার নিষ্পত্তি হয়। মীমাংসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অদক্ষ নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন তারা। এডিসি হারুনের অবিলম্বে বরখাস্তের দাবিও উঠেছে।

ভিকটিম আনোয়ার হোসেন নাঈম বলেন, বারডেম হাসপাতালে  রাষ্ট্রপতির  এপিএস আজিজুল হক খান মামুন ভাইয়ের সঙ্গে এডিসি হারুন অর রশিদকে তর্ক করতে দেখেছি। তারপর আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। হঠাৎ এডিসি হারুন ১০-১৫ জন পুলিশকে সেখানে নিয়ে আসেন। এরপর মামুন ভাই ও আমাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিরকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। ৫ মিনিট পর আমি শাহবাগ থানায় যাই এবং হারুনের নির্দেশে ১০ থেকে ১৫ জন এসআই, কনস্টেবল ওসির কক্ষে আমাকে নির্মম নির্যাতন করে। আমার সারা শরীরে কিল, ঘুষি, লাথি। এরপর আর কিছু মনে নেই।

তিনি বলেন, থানা মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কিন্তু সেখানে আমাকে পিটিয়ে  আহত করা হয়। আমি ছাত্রলীগ পরিচয় দেওয়ার পর তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি তার বরখাস্ত চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং রমনার ডিসি বলেছেন, তারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যবস্থা নেবেন, তবে আমি এ বিষয়ে আস্থাশীল নই। আমাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আমরা  দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরও পড়তে

জাবিতে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেফতারঃ ছাত্রদের হালকা উত্তম মাধ্যম

পাঠ্যসূচিতে ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদঃ শাহবাগে ‘লাল কার্ড সমাবেশ’পুলিশ-ছাত্রলীগের মিলিত বাধায় পণ্ড

বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা, ছাত্রলীগ নেতাকে জনতা পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে

পায়ের রগ কেটে ফেলার পরদিন সেই বন্ধুর কাছেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা ছাত্রলীগ নেতার!

ছাত্রলীগের যন্ত্রণায় হলছাড়া, বিছানাপত্র নিয়ে প্রশাসন ভবনের গেটে শিক্ষার্থী

গরুচোর ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

যুগলকে শ্লীলতাহানি করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে ঢাবি’র ছাত্রলীগ নেতারাঃ গ্রেপ্তার-২

সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগ

 

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X