সবার মধ্যে মন মরা মুখ গোমরা ভাব কেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ইদানিং বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বা বক্তৃতার সময় আওয়ামী লীগ মনা রাজনৈতিকদের এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মনমরা দেখা যাচ্ছে । এটা বড়ই সত্য । কেন দেখা যাচ্ছে সেটাও বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের বোধগম্যের বাইরে নয় । এরকম ভগ্নহৃদয় আর শুকনো মুখ দেখে এখন চারবারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়ও এ সকল কথা ফুটে উঠছে । আসলে এইভাবে নির্বাচনের আগে মন মরে ছিল লে .জে. হো.মো. এরশাদের ,আমেরিকার সাবেক কুখ্যাত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের , কর্নেল গাদ্দাফির , জুলফিকার আলী ভুট্ট সহ অনেক স্বৈরশাসকের।
বাংলাদেশে বিদেশিদের সাম্প্রতিক আগ্রহ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা মনে রাখবেন, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের শত্রুতা এখনো দূর হয়নি। তবে তা কাটিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তাই এই গোমরা মুখ দেখতে চাই না, সবার হাসি দেখতে চাই। যে সমস্যাই আসুক না কেন, তা মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন সাহস ও শক্তি। সেই শক্তি নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দুটি প্রতিষ্ঠান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনের ২৮ জন কর্মকর্তার হাতে পদক তুলে দেন।
সরকারপ্রধান বলেন, পুরস্কার পাওয়ার পরেও কাউকে হাসতে দেখি না। সবার মন মরেছে, মন মরেছে কেন? প্রত্যেকেরই হাসি খুশি থাকা উচিত। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের অভিনন্দন। যারা পাননি তারা ভবিষ্যতে পাবেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, অর্থনৈতিক চাপ শুধু আমাদের নয়, সারা বিশ্বের। উন্নত দেশগুলোও সংগ্রাম করছে। কিন্তু আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। অর্থনৈতিক চাপ আছে, কিন্তু অর্থনৈতিক গতিশীলতা বজায় রাখা হয়েছে। এর পেছনে যারা কাজ করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের পরিশ্রমের কারণে। তাই একটু আন্দোলন দেখলেই ভয় পাবেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীত্ব বড় কথা নয়। আমি মনে করি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। ওটা, যা আমি করছি. কিভাবে সব ধরনের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করছি। বিদেশ থেকে কর্মকর্তাদের ট্রেনিং করিয়ে নিয়ে আসা, এগুলো জাতির পিতা শুরু করেছেন। আমরা সেটা অব্যাহত রেখেছি।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার করা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি। কারণ জনগণ এখান থেকে সেবা নেবে এবং আমাকে ভোট দেবে। তারা মানুষের কথা ভাবেনি। তারা ভোটের কথা ভেবে ছিল। এর ফলও পেয়েছে । ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ২৯ টি আসন পেয়েছিল। আমরা সরকার গঠন করি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আসলে এইভাবে নির্বাচনের আগে মন মরে ছিল লে.জে.হো.মো.এরশাদের,আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের , কর্নেল গাদ্দাফির , জুলফিকার আলী ভুট্ট সহ অনেকের।
প্রসঙ্গত, এর আগে শেখ হাসিনা বলেন , সরকার উৎখাতে আন্দোলন করুক, দেখি কত জোর তাদের।
যারা সাধারণ মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমাদের রাজনীতি। আর ওদের রাজনীতি মানুষকে পুড়িয়ে ক্ষমতাকে নিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা।
ইতালির রোম শহরে পারকো ডেই প্রিনসিপি গ্র্যান্ড হোটেলে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জুলাই ২৫, ২০২৩ (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টা) আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন।সরকার উৎখাতে আন্দোলন করুক, দেখি কত জোর।
বিএনপি নির্বাচন চায় না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা কিছু বিদেশি প্রভুর হয়ে কাজ করছে। তারা দেশের মানুষকে কষ্ট দিতে চান।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, আওয়ামী লীগ সেই প্রতিশ্রুতি রাখে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি জানে নির্বাচন হলে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। যারা ভোট চুরি করে বহিষ্কৃত হবেন তাদের কে ভোট দেবেন? তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিল? জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, ক্ষমতায় এসে সেনা বিধি লঙ্ঘন করে, সেনাপ্রধান নিজেকে আবার রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় তার রাজনীতি। সেই অবস্থায় হ্যাঁ-না ভোট, রাষ্ট্রপতির ভোট, সব ভোটই জাল! এভাবে চুরি করে… যে দল জেনারেলের পকেট থেকে জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য তৈরি করেছে তার চেহারা কোথায়! আর যারা আগুন সন্ত্রাসে নিহত হয়েছে তাদের সামনে ভোট চাইবে ? !’
তাই তারা নির্বাচন চায় না। তারা কিছু বিদেশী প্রভুর অনুসরণ করে। তিনি তাদের সঙ্গে দেশের মানুষকে কষ্ট দিতে চান। তারা আজ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ব্যাহত করতে চায়। কারণ হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়ে ক্ষমতায় থেকে যে লোভ এসেছে, সেটাই তাদের কাছে সবচেয়ে বড়,’।
আরও পড়তে
‘রাতের অন্ধকারে এমপি হয়েছ, আমরাই তো তৈরি করেছি’: আওয়ামী লীগ নেতা
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনঃ বিগত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতি
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় ছিল। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে এসেছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন এরশাদ, অনুসরণ করেছেন খালেদা জিয়া। গ্যাস বিক্রি একটি বন্ড সঙ্গে এসেছিল. তারা কখনো এ দেশের কল্যাণ চাইবে না। মনে রাখতে হবে, তারা নির্বাচনে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। তারা এদেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চায় এবং ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে চায়; এটাই তাদের উদ্দেশ্য। এটাই তারা করতে চায়। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করাই তাদের উদ্দেশ্য। করা। সেটা কি বাংলাদেশে হতে দেবে? এটা কেউ দেবে না।’
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই অপশক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আহ্বান আল্লাহতালাকে সাক্ষী রেখে একটি সুস্থ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন । দেখেন বাংলার জনগণ কি চায় , কাকে চায় , কিভাবে চায় ।
2 Comments