ইমরানের খানের কৌশল: ভেঙে গেলো খাইবার পাখতুনখায়ের সরকারও
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার বিলুপ্ত হওয়ার কয়েকদিন পর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারও ভেঙে দেওয়া হয়। বুধবার এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন প্রদেশের গভর্নর।
কেন্দ্রীয় সরকারকে আগাম জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য করার কৌশল হিসেবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের পরামর্শে প্রদেশ দুটির সরকার ভেঙে দেওয়া হলো। গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর থেকেই ইমরান আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন।
প্রথমে সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন ইমরান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তাঁর মিত্র পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ) নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহী। সরকার ভেঙে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে গভর্নরের স্বাক্ষর করার সময়সীমা পার হওয়ার পর বিধি অনুযায়ী শনিবার রাতে ওই সরকার ভেঙে যায়। কয়েক দিনের ব্যবধানে আরেকটি প্রদেশের সরকারও ভেঙে দেওয়া হলো। ইমরান খানের দল পিটিআই আশা করছে, দেশের চারটি আইনসভার মধ্যে দুটিই ভেঙে দেওয়ার পর বেশ চাপে পড়বেন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটাই বলছেন।
পিটিআই নেতা, খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাক্তন প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “আমরা ফিরে আসব এবং কেবল খাইবার পাখতুনখোয়াতেই নয়, পুরো পাকিস্তানে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করব।”
পিটিআই নেতা মুসাররাত জামশেদ চিমা আল জাজিরাকে বলেছেন যে তারা আশা করছে সরকার তাদের নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আগাম নির্বাচন করবে।
আগামী অক্টোবরে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর আগে নির্বাচনের দাবি করে আসছে পিটিআই। আর সংবিধান অনুযায়ী প্রাদেশিক আইনসভা ভেঙে দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন হতে হবে।