ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন বন্ধ
ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে উপনির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে আজ বুদবার(১২/১০/২০২২) দুপুর সোয়া ২টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনো একটি পক্ষ বা কোনো একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাবিত করতে পারছেন। ফলে আমাদের দৃষ্টিতে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিরপেক্ষ হচ্ছে না
এর আগে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তিনি বলেন, ‘আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।এ সময় গোপন কক্ষে অযাচিত লোকদের উপস্থিতি, এজেন্ট বের করে দেওয়া, সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ নানা অভিযোগের কথা স্বীকার করেন সিইসি।
এর আগে অনেক কথার মাঝে সিইসি এও বলেছেন যে, ‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকেই দেখছি গেঞ্জি পরে, শাড়ি পরে যেখানে প্রতীক আছে দেখিয়ে দিচ্ছে। তারা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে এবং এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরই আমরা ডাকাত-দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধা করতে হবে। সবাই যদি আইন না মানি নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।
এই আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান ছাড়া বাকিরা ভোটে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে ভোট বর্জন করেন।
এর আগে দুপুর পর্যন্ত মোট ৫১টি কেন্দ্রের নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন এই উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি ভোটকেন্দ্র ছিলো।