February 21, 2025
আপনার এই যুদ্ধ শুরু করাই ঠিক হয়নি: জেলেনস্কিকে ট্রাম্প, বললেন জেলেনস্কি স্বৈরশাসক

আপনার এই যুদ্ধ শুরু করাই ঠিক হয়নি: জেলেনস্কিকে ট্রাম্প, বললেন জেলেনস্কি স্বৈরশাসক

আপনার এই যুদ্ধ শুরু করাই ঠিক হয়নি: জেলেনস্কিকে ট্রাম্প, বললেন আপনি স্বৈরশাসক

আপনার এই যুদ্ধ শুরু করাই ঠিক হয়নি: জেলেনস্কিকে ট্রাম্প, বললেন আপনি স্বৈরশাসক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি এই মাসেই  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করতে পারেন। একই সাথে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ট্রাম্প জেলেনস্কিকে দায়ী করেছেন।  সাথে সাথে  ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিকে “স্বৈরশাসক ” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, স্বৈরশাসক জেলেনস্কির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, নাহলে তার দেশের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার রিয়াদে ইউএস ও রাশিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের পর ফ্লোরিডার পাম বিচে তার মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।

দুই দেশের কর্মকর্তারা বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ কীভাবে শেষ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প কিয়েভের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে, ইউক্রেনকে এই বৈঠকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি মনে করি এই যুদ্ধ শেষ করার ক্ষমতা আমার আছে। আমি মনে করি যুদ্ধ শেষ করার আলোচনা ভালোভাবে চলছে। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেন কিন্তু আমি আজ ইউক্রেনের নেতাদের বলতে শুনেছি, “ওহ, আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।” ঠিক আছে, মানে, আপনি তিন বছর ধরে সেখানে ছিলেন। আপনার এটি শেষ করা উচিত ছিল” । “আপনার যুদ্ধ শুরু করা উচিত ছিল না। আপনি একটি চুক্তি করতে পারতেন। এখন আমি ইউক্রেনের জন্য একটি চুক্তি করতে পারি।” রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে আলোচনার পর ট্রাম্প বলেন, তিনি একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আরও আত্মবিশ্বাসী।

শক্তিশালী এই  রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, “রুবিও এবং ল্যাভরভের মধ্যে দুর্দান্ত আলোচনা হয়েছে। তারা এই বর্বর বর্বরতা বন্ধ করতে চান।” রাশিয়া একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইউক্রেনে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। তার প্রশাসন রাশিয়ার আহ্বানে সাড়া দেবে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প প্রমাণ না দিয়ে বলেন, “জেলেনস্কির অনুমোদনের হার ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।” ট্রাম্প আরও বলেন যে, বর্তমান সামরিক আইনের কারণে দেশটির নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। কিয়েভের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সোসিওলজির ডিসেম্বরের এক জরিপে দেখা গেছে যে, ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, তাদের জেলেনস্কির উপর আস্থা রয়েছে, যা ফেব্রুয়ারির জরিপের তুলনায় ১২ শতাংশ কম।

ট্রাম্পের মন্তব্যের আগে, জেলেনস্কি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, “কিয়েভ নিশ্চিত করতে চান যে, ওয়াশিংটন এবং মস্কো আমাদের পিছনে চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত করতে না পারে।”

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি আরও বলেন যে, ইউক্রেন ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধ কীভাবে শেষ করা যায় সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

ইউএস পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে, রুবিও এবং ল্যাভরভ মঙ্গলবার রিয়াদে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল গঠনে সম্মত হয়েছেন যাতে ইউক্রেনের সংঘাত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করার উপায় নিয়ে কাজ করা যায়।

সম্প্রতি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, ট্রাম্প মস্কোর সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার সাথে আপস করতে পারেন। ইউরোপীয় নেতারা এই ধরনের দর কষাকষির জন্য একটি সমন্বিত প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত করার চেষ্টা করছেন।

এই সপ্তাহে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন যে, তিনি ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর জন্য উন্মুক্ত। ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি যেকোনো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের বাইরে সীমিত সংখ্যক সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করবেন।

সোমবার, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে ইউক্রেনের উপর যুদ্ধোত্তর নিরাপত্তা আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন যে, এটি “একেবারে অনুপযুক্ত”।

পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন যে, তার দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা কম।

ফ্রান্স এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের সাথে আরও একটি দফা আলোচনা আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন ইউরোপীয় নেতারা।

মঙ্গলবার মার-এ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর জন্য ইউরোপীয় দেশগুলির প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। তবে তিনি বলেন, সেখানে কোনও মার্কিন সেনা পাঠানো হবে না।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X