অ্যামেরিকার নাম পাল্টে ‘মেক্সিকান অ্যামেরিকা’ রাখার প্রস্তাব দিলেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
মেক্সিকো, গ্রীনল্যান্ড , কানাডা এবং বিশ্বের অনেক কিছু নিয়েই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলছেন ট্রাম্প, ওর কড়া জবাব দিচ্ছেন বিশ্ব নেতারা তারই ধারাবাহিকতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের গালফ অব মেক্সিকোর নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের জবাবে, মেক্সিকান রাষ্ট্রপতি ক্লডিয়া শেইনবাউম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন করে মেক্সিকান আমেরিকা রাখার প্রস্তাব করেছেন। বুধবার মেক্সিকো সিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে, ৪০০ বছরেরও বেশি পুরনো নাম গালফ অব মেক্সিকো জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত।
মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ক্লডিয়া শেইনবাউম গালফ অব মেক্সিকো নাম পরিবর্তন করে গালফ অফ অ্যামেরিকা করার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাবের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
শেইনবাউম বলেন, “জাতিসংঘ গালফ অব মেক্সিকো (মেক্সিকো উপসাগর) নামকরণ করেছে। আমরা কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মেক্সিকান আমেরিকা বলি না? এটা শুনে ভালো লাগছে। যাই হোক, ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন বলেও কিছু আছে। আমার মনে হয় ট্রাম্পের সাথেও আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকবে। আমার মনে হয় এর কারণ হলো ট্রাম্পের সাথে আমাদের আগের প্রেসিডেন্টের ভালো সম্পর্ক ছিল।”
তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিলেন যে, গালফ অব মেক্সিকোর নামকরণ করা হয়েছিল ১৬০৭ সালে এবং ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই নামটি রয়েছে।
মেক্সিকো মাদক পাচারকারীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাব দিতে প্রেসিডেন্ট শাইনবাউম ভোলেননি।
শাইনবাউম বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে, মেক্সিকো মাদক পাচারকারীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এই অভিযোগ খুবই আপত্তিকর। এই ধরনের অভিযোগ কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
শাইনবাউম বিশ্বাস করেন যে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলা হচ্ছে যে, গতকাল তাকে কিছু ভুল তথ্য দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। ট্রাম্পকে হয়তো বলা হয়েছে যে, ফেলিপ ক্যালডেরন এবং গার্সিয়া লুনা এখনও মেক্সিকো শাসন করেন। কিন্তু আমি তাকে জানাতে চাই যে মেক্সিকো এখন একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির দ্বারা শাসিত।
শাইনবাউম অভিযোগ করে বলেন, এই মুহূর্তে আমেরিকা থেকে অবৈধ অস্ত্র মেক্সিকোতে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের সাথে ভালো বোঝাপড়া করবেন। আমি আশা করি একসাথে কাজ করব, বিশেষ করে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। আমি আশা করি আমেরিকা থেকে আমাদের দেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশও অনেক কমে যাবে।’
তিনি বিশ্বাস করেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন বিষয়ে আমেরিকার সাথে মেক্সিকোর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবে।