প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘে জো বাইডেনের শেষ ভাষণ
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেষবারের মতো জাতিসংঘে বক্তৃতায় পররাষ্ট্রনীতি ঝালিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করবেন। ইউক্রেন যুদ্ধ ও অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের মতো চ্যালেঞ্জের মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার ভাষণ দেয়ার কথা। মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে বাইডেনের দুপুর ২টা জাতিসংঘে এ ভাষণ দেয়ার কথা ।
তিনি তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো তুলে ধরবেন। এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি ইউক্রেনকে সমর্থন করতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে একটি কূটনৈতিক সমাধান নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বকে আহ্বান জানাবেন। ইউক্রেনে রুশ অভিযান, গত অক্টোবরে ইস্রায়েলে হামাসের হামলা এবং গাজায় ইস্রায়েল বাহিনীর আক্রমণের মতো বিদেশি চ্যালেঞ্জের চাপে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়া, হামাস ও হিজবুল্লাহকে সমর্থনকারী ইরান ও চীনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে হোয়াইট হাউস।
পেন্টাগন সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সতর্কতা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা পাঠাবে। গাজা যুদ্ধবিরতি এবং ইস্রায়েল-হিজবুল্লাহ উত্তেজনা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার মধ্যে তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপতির দুই দিনের অবস্থানের সময় ভাষণটি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। মঙ্গলবার পরে তিনি জলবায়ু নিয়ে আরেকটি ভাষণ দেবেন। আর বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট টু লামের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
রাশিয়া ও চীনের আধিপত্য কমাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে বেশ আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। এ কারণে তার স্বার্থের তালিকায় রয়েছে ভিয়েতনাম। ইউক্রেন, রাশিয়া, গাজা, ইরান ও চীনের সব চ্যালেঞ্জের ভবিষ্যত নির্ভর করছে বিডেনের উত্তরসূরি ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নাকি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
বাইডেনের নেতৃত্বে ইউক্রেনের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার মার্কিন অস্ত্র সহায়তা। এ ছাড়া কিয়েভের পেছনে ন্যাটো জোটের সমর্থন নিশ্চিত করতে কাজ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু রাশিয়ার পূর্ব ইউক্রেন দখল অব্যাহত থাকায় যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সফল হয়নি।
আরো পড়তে