নেতানিয়াহুর যুদ্ধযন্ত্রের জন্য আর অর্থায়ন হবে না – মার্কিন সিনেটর
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বন্ধের জোরালো দাবি তুলেছেন মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য বার্নি স্যান্ডার্স। গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ দাবি করেন। সাক্ষাতকারে স্যান্ডার্স বলেন, “এই সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে এবং আরও অনেক আহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার যেসব এলাকায় গুলি চালানো নিষিদ্ধ সেখানেও হামলা চালাচ্ছে।”
“একই সময়ে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে একজন আমেরিকান নাগরিকের মাথায় গুলি লেগেছে। একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ১৪ জন তাদের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন ছিল জাতিসংঘের দাতব্য কর্মী।” “আমি শুধু বলতে চাই, কয়েক মাস ধরে (ফিলিস্তিনে) চলমান যুদ্ধযন্ত্রের জন্য আর কোনো মার্কিন আর্থিক সহায়তা উচিত নয়।”
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ, ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েলের ভূখণ্ডে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের দ্বারা আকস্মিক আক্রমণের পরে সেখানে একটি অভিযান শুরু করে, যা এখনও চলছে। হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও, ২৪২ জনকে যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১০১ জন জিম্মি এখনও হামাসের হাতে রয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় ৪১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ৯০ হাজারের বেশি আহত হয়েছে।
এদিকে, গাজা আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সহিংসতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে ফিলিস্তিনিরা ইহুদি বসতি স্থাপনকারী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে প্রায় নিয়মিত সংঘর্ষে লিপ্ত।
গত সপ্তাহে, পশ্চিম তীরের নাবলুসে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় আয়নুর আয়েগি (২৬) নামে এক তরুণীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আয়েগি ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ছিলেন। তার মৃত্যুর পর এক শোক বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “আয়েশা নুরের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।”
