February 16, 2025
হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই: হোয়াইট হাউস

হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই: হোয়াইট হাউস

হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই: হোয়াইট হাউস

হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই: হোয়াইট হাউস

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এ ধরনের অভিযোগ ও জল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। এছাড়াও বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগ ‘সিদ্ধভাবে মিথ্যা’। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে অপসারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। একইসঙ্গে হোয়াইট হাউস বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগকে ‘নিছক মিথ্যা’ বলেও অভিহিত করেছে।

বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। মার্কিন সরকার এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল এমন কোনো প্রতিবেদন বা গুজব নিছক মিথ্যা।

সোমবার হোয়াইট হাউস আরও বলেছে, “আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশি জনগণেরই বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা উচিত এবং আমাদের অবস্থান ঠিক এটাই।”

গত রোববার দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা তাদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তাটি দ্য প্রিন্টে পৌঁছেছে বলেও দাবি করা হয়।

দ্য প্রিন্ট হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছিল কারণ তারা (মার্কিন) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশী দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের উপর নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল।

যদিও পরে হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, তিনি (হাসিনা) এমন বক্তব্য কখনো দেননি।

হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনের অভিযোগ হাস্যকর: স্টেট ডিপার্টমেন্ট

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবারও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসিনার দাবি হাস্যকর। এর আগে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, হাসিনার পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের পর স্টেট ডিপার্টমেন্টও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে বেদান্ত প্যাটেলকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, হাসিনার পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন। যেখানে তিনি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? জবাবে প্যাটেল বলেন, এটা হাস্যকর। শেখ হাসিনার পদত্যাগে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল এমন কোনো ধারণা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে অনেক বিভ্রান্তি দেখেছি। এই বিষয়ে, আমরা ডিজিটাল ইকোসিস্টেম জুড়ে ডেটা অখণ্ডতা জোরদার করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করি।

গত ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। দেশ ছাড়ার পর, তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্যও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, ভারতীয় মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে। এছাড়া হাসিনার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। যার প্রধান বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। ইতোমধ্যে তিনি দেশ পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেছেন।

Read more…

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X