যুক্তরাষ্ট্রে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাসিম পারভীনের মরদেহ উদ্ধার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম পারভীনের মরদেহ বোস্টনে তার বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।নাসিম পারভীনের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলায়।
তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত টাইমে বিদায় নেওয়া আব্দুল মোমেনের একাধিক স্ত্রীর একজন। যিনি এখন তালাকপ্রাপ্তা ছিলেন।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে বাংলাদেশ বংশভুত,নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নাসিম পারভীনের বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনের কাছের শহর ওয়েস্ট রক্সবারিতে তার বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। বোস্টনের আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাসিম পারভীন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমপির সাবেক স্ত্রী। মঙ্গলবার, ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনের কাছে একটি শহর ওয়েস্ট রক্সবারিতে তার বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ওই বাড়িতে তিনি দীর্ঘদিন একা থাকতেন। বোস্টনের আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি সাংবাদিকদের তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাসিম পারভীনের ১ ছেলে এবং ১ মেয়ে ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের অন্যান্য শহরে বসবাস করে। দুজনের ব্যস্ততার কারণে মাঝেসাজে মায়ের সঙ্গে দেখা হতো। গত ২ মে বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে ফোনে শেষ কথা হয়। এরপর অনেক চেষ্টা করেও মাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এতে সন্দেহ হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে তার ছেলে পশ্চিম রক্সবারির বাড়িতে গিয়ে ডোরবেল টিপলে পুলিশকে ফোন করলে সাড়া না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে নাসিম পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
বোস্টন প্রবাসী নাসিম পারভীন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের একাধিক স্ত্রীর একজন।
তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর, তিনি ১ ছেলে এবং ১ মেয়ের সাথে ওয়েস্ট রক্সবারি, ম্যাসাচুসেটস (বোস্টনের কাছে) দীর্ঘকাল বসবাস করতেন। পরে সন্তানরা কাজের জন্য অন্য শহরে চলে গেলে তিনি ওই বাড়িতে একা থাকতেন।
নাসিম পারভীন অনেকদিন যাবত নিউ ইংল্যান্ড (বোস্টন) মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। পুলিশ থেকে লাশ হস্তান্তরের পর তার জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়েছেন। কারণ সেখানে কোন মুসলিমের মৃত্যু হইলে তাকে সাধারণত মুসলিম কমিউনিটিতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে তাদের দাফন-কাপনের ব্যবস্থা করা হয়।