যাত্রা শুরু করল বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরীঃআইকন অফ দ্য সিজ
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি থেকে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ শিপ ‘আইকন অব দ্য সিস’। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সূর্যাস্তের আগে জাহাজটি মিয়ামি বন্দর ছেড়ে যায়। গন্তব্য পূর্ব এবং পশ্চিম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ। সাত দিনের সমুদ্রযাত্রার পর জাহাজটিটি গন্তব্যে পৌঁছাবে।
যাত্রা শুরু করা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ ‘আইকন অফ দ্য সিস’। শনিবার সূর্যাস্তের আগে ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামি বন্দর থেকে জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। টাইটানিকের চেয়ে পাঁচগুণ বড় এই স্বর্গ যেন সমুদ্রের অন্তহীন নীলের মায়াবী শহর। এর রয়েছে বিনোদনের এক অনন্য জগত।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো। যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুড জাহাজ আইকন অফ দ্য সিস। সাত দিনের সমুদ্রযাত্রায় স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামি বন্দর থেকে জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। গন্তব্য হল পূর্ব এবং পশ্চিম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ।
লের মায়াবী শহর। বিনোদনের অন্য জগতে মোড়ানো। এই স্বর্গে বিলাসিতার চোখ ধাঁধানো ঝলক। এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী ছিল রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের ‘ওয়ান্ডার অফ দ্য় সিজ’। সেটিকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী হল আইকন অব দ্য সিজ। ওয়ান্ডার অব দ্য সিজ ছিল ১১৮৮ ফুট দীর্ঘ, আর ওজন ছিল ২৩৫,৬০০ টন।
বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি বন্দর থেকে ছেড়েছে। এর রয়েছে বিনোদনের বিশাল জগত। এবং বিলাসবহুল গন্তব্য।
প্রমোদতরীর নাম ‘আইকন অব দ্য সিজ’। শনিবার স্থানীয় সময় সূর্যাস্তের আগে এটি প্রথম যাত্রা করে।
- অনেকেই এই স্বর্গকে টাইটানিকের চেয়ে পাঁচগুণ বড় বলে থাকেন। জাঁকজমক, গ্লিটজ, বিনোদন সুবিধা এবং প্রশস্ততা ভ্রমণকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
- ক্রুজ জাহাজে ২০ টি ডেক, ৭ টি সুইমিং পুল, ৬টি জলের স্লাইড রয়েছে।
- প্রমোদ তরীর টপ ডেকে ৪০ টিরও বেশি বার, রেস্তোরাঁ, লাউঞ্জ এবং বিনোদনের স্থান রয়েছে।
- বিশাল এই জাহাজে একসঙ্গে সাত হাজার ৬০০ যাত্রী থাকতে পারবেন। ২৩৫০ জন ক্রুর জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
- রয়্যাল ক্যারিবিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন এই রিসোর্টের সামনে রয়েছে ‘অ্যাকোয়াডোম’। সেখানে একটি জলপ্রপাত দেখা যায়। এছাড়াও রয়েছে পাঁচ-ডেক উঁচু এবং খোলা সেন্ট্রাল পার্ক।
- এটি একটি সাঁতারু এবং গাছপালা প্রচুর একটি ভাস্কর্য আছে.
- আইকন অফ দ্য সি এর দৈর্ঘ্য ৩৬৫ মিটার (১ হাজার ১৯৭ ফুট)। এর ওজন ২ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টন।
- । এই ক্রুজ জাহাজে রয়েছে ২০টি ডেক, রয়েছে ৭টি সুইমিং পুল এবং ৬টি ওয়াটার স্লাইড।
- সব মিলিয়ে ৭,৯৬০ জন লোক এই বিশাল জাহাজে যাত্রা করতে পারবে।
- যাত্রা শুরুর পর, যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ‘রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল’ সংস্থা। জাহাজটিতে ২৮টি বিভিন্ন ধরনের কেবিন থাকছে।
- ৮২ শতাংশ কক্ষে তিন বা তার বেশি অতিথি থাকতে পারবেন। এই রিসোর্টে ‘থ্রিল আইল্যান্ড’ নামে একটি বিশাল ওয়াটার পার্কও রয়েছে।
- ‘সার্ফসাইড’ নামে একটি পারবারিক এলাকা রয়েছে। ‘রয়্যাল প্রমেনেড’ থেকে সরাসরি সমুদ্রের দৃশ্য দেখা যাবে। এছাড়াও রয়েছে ‘দ্য হাইডওয়ে’তে ইনফিনিটি পুল।
- কেবিন: একাধিক ধরনের কেবিন রয়েছে এই প্রমোদতরী তথা আইকন অফ দ্য সিজে।
- ৭০ শতাংশ কক্ষে বারান্দা রয়েছে। এই বারান্দায় দাঁড়িয়ে সমুদ্রের নীল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
- যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য ৫০ জন সঙ্গীতশিল্পী এবং কৌতুক অভিনেতাও রয়েছে।
- বিনোদন পার্কের সামনেই ‘অ্যাকোয়াডোম’। এখানে জলপ্রপাত দেখার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও পাঁচটি ডেক উঁচু এবং খোলা সেন্ট্রাল পার্ক। এখানে প্রচুর গাছপালা এবং সাঁতারুদের ভাস্কর্য রয়েছে।
জাহাজ কোথায় তৈরি হয়?
ক্রুজ জাহাজটি রয়্যাল ক্যারিবিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন। ২০২২ সালের এপ্রিলে, ফিনল্যান্ডের মীর তুর্কু শিপইয়ার্ডে জাহাজটির নির্মাণ শুরু হয়। সেখান থেকে শুরু হয় ট্রায়াল রান। সেই পরীক্ষায় দ্য আইকন অফ দ্য সিস শত শত মাইল পাড়ি দিয়েছিলেন। গত বছর ট্রায়াল রান শেষ হয়।
প্রমোদতরী যে পথে চলবে
এই ক্রুজ মিয়ামি থেকে পশ্চিম ক্যারিবিয়ান পর্যন্ত চলে। ক্যারিবিয়ান সাগরের পূর্ব ও পশ্চিম রুট বরাবর এক সপ্তাহের সফর হবে। এই সাত রাতের একটিতে, অতিথিদের বাহামাসের রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের মালিকানাধীন একটি দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হবে। সাত রাতে ইস্টার্ন ক্য়ারিবিয়ান এই সফরে বেশ কয়েকটি জায়গা ভ্রমণের সুযোগ মিলবে। ৭ রাতের ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান ট্রিপে মায়ামি, ফিলিপ্সবার্গ, শার্লট আমালি এবং কোকোকে; অথবা, ব্যাসেটেরে, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, শার্লট আমালি এবং কোকোকে ভ্রমণ করা যাবে। আর ৭ রাতের পশ্চিম ক্যারিবিয়ান ট্রিপে থাকবে মায়ামি, রোটান, কোস্টা মায়া, কোজুমেল এবং কোকোকে ভ্রমণ।
খরচ পড়বে কত?
রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইট অনুসারে, এই বছরের শুরুতে ক্রুজের প্রথম যাত্রার মূল্য ছিল প্রায় $১,৮০০ থেকে $২,২০০ জন প্রতি, বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ থেকে সোয়া ২ লক্ষ টাকা। The Icon of the Sea-এর টিকিট বুকিং ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয়৷ সেই সময়ে মাথাপিছু টিকিটের মূল্য ছিল ১২৫৯ ডলার, বাংলাদেশীমুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা৷ এক বছরের ব্যবধানে সেই খরচ অনেক বেড়ে গেছে।