September 18, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
সপ্তাহে ৩ দিন কাজই যথেষ্টঃ জীবনের উদ্দেশ্য শুধু চাকরি নয়: বিল গেটস

সপ্তাহে ৩ দিন কাজই যথেষ্টঃ জীবনের উদ্দেশ্য শুধু চাকরি নয়: বিল গেটস

সপ্তাহে ৩ দিন কাজই যথেষ্টঃ জীবনের উদ্দেশ্য শুধু চাকরি নয়: বিল গেটস

সপ্তাহে ৩ দিন কাজই যথেষ্টঃ জীবনের উদ্দেশ্য শুধু চাকরি নয়: বিল গেটস

বিল গেটসঃ

উইলিয়াম হেনরি গেটস  (বিল গেটস ) {জন্ম ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৫} একজন আমেরিকান ব্যবসায়িক ম্যাগনেট, সফ্টওয়্যার বিকাশকারী, সফ্টওয়্যার উদ্ভাবক,  বিনিয়োগকারী, শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী দরদী লেখক এবং সমাজসেবী। তিনি মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মাইক্রোসফটে তার কর্মজীবনের সময়, গেটস চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সফ্টওয়্যার আর্কিটেক্টের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং মে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। তিনি ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকের মাইক্রোকম্পিউটারের  আবিষ্কার বিপ্লবের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা এবং অগ্রগামী কর্ণধার। গেটস ওয়াশিংটনের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। ১৯৭৫সালে, তিনি নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্কে শৈশবের বন্ধু পল অ্যালেনের সাথে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠা করেন; যা পরবর্তীতে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তিগত কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানিতে পরিণত হয় । 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি মানুষকে কায়িক শ্রম থেকে মুক্ত করে আরও গঠনমূলক কাজ করার সুযোগ দেবে। তাই সপ্তাহে মাত্র তিন দিন কাজ করলেই হবে। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এমন মতামত দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। বিল গেটস এমন একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন যেখানে প্রযুক্তি মানুষকে প্রতিস্থাপন করবে না বরং মানব সহকারী হিসাবে কাজ করবে, মানুষকে সপ্তাহে মাত্র তিন দিন কাজ করার সুযোগ করে দিবে।

ট্রেভর নোয়ার ‘হোয়াটস নাও’—পডকাস্টে প্রযুক্তি -প্রযুক্তি মানুষের জীবনে কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিল গেটস তার মতামত শেয়ার করেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের কর্মসংস্থানকে হুমকির মুখে ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিল গেটস বলেন, ‘আমি মনে করি না। বরঞ্চএআই গঠনমূলক কাজে মানুষের সময় বাঁচাবে।’

বিল গেটস বলেছেন, ‘জীবনের উদ্দেশ্য শুধু চাকরি করা নয়। আপনি যদি এমন একটি সমাজের কথা কল্পনা করেন যেখানে আপনাকে সপ্তাহে মাত্র তিন দিন কাজ করতে হয়, তাহলে সেটা সম্ভবত ভালো।” ফলস্বরূপ, মানুষ শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে।

প্রজন্মের সাথে সাথে শ্রমের ক্ষেত্রও বদলে যাবে। এ বিষয়ে একটি উদাহরণ দিয়ে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, তার দাদা শুধু কৃষিকাজকেই আসল কাজ মনে করতেন। বাবার সময় থেকেই এই ধারণা পাল্টে যায়। এখন মার্কিন নাগরিকদের মাত্র ২ শতাংশ কৃষিকাজে জড়িত।

বিল গেটস বলেন, ‘প্রযুক্তির অগ্রগতি যদি স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে এবং সরকার যদি নাগরিকদের সেই পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে, তাহলে তা মানুষের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে প্রত্যেকেরই নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। সফটওয়্যার সব কিছুর উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। বয়স্ক ব্যক্তিদেরও ভালোভাবে সাহায্য করা যেতে পারে যদি তারা কায়িক শ্রম থেকে মুক্তি পায়। যাইহোক, নিজের দক্ষতার সাথে মিলে গেলেও কায়িক শ্রমের চাহিদা সবসময় থাকবে।

গত মার্চে ‘দ্য এজ অব এআই হ্যাজ বিগা’ (এআই এর যুগ শুরু হয়েছে) শিরোনামের শিরোনামের একটি ব্লগ পোস্টে বিল গেটস বলেছিলেন যে এআই-ভিত্তিক সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। তিনি ChatGPT কে ১৯৮০ এর দশকের গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেসের সাথে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসাবে তুলনা করেন। এআই-ভিত্তিক সরঞ্জামগুলি নিম্ন আয়ের দেশ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আরও অ্যাক্সেসযোগ্য হওয়া উচিত।

এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাতকার এবং ব্লগে বিল গেটস AI এর ঝুঁকি এবং সুবিধা উভয়ই তুলে ধরেন। গত জুলাইয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি মনে করি না AI এর প্রভাব শিল্প বিপ্লবের মতো নাটকীয় হবে। তবে, এটি অবশ্যই ব্যক্তিগত কম্পিউটার প্রবর্তনের মতো একটি বড় ঘটনা হতে চলেছে। চলেছে। ওয়ার্ড প্রসেসিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি অফিসের কাজের অবসান ঘটায়নি, তবে  যাইহোক, এই অ্যাপগুলি সেই কাজকে চিরতরে পরিবর্তন করেছে। এ সময় মালিক-কর্মচারীদের তা সামলাতে হয়। তারা সেই কাজে সফল হয়েছে।” AI এর ঝুঁকি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি ভুল তথ্য, ডিপফেক কন্টেন্ট, নিরাপত্তা হুমকির বিস্তারের কথাও উল্লেখ করেছেন।

মোট ৪৫ মিনিটের কথোপকথনে তিনি আলোচনা করেছেন কীভাবে এআই এবং প্রযুক্তি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকি সম্পর্কে বিল গেটস বলেন, একদিন এমন একটা সময় আসবে যখন মানুষকে তেমন পরিশ্রম করতে হবে না। বিল গেটস বলেন, “হয়তো আমাদের এমন একটি সমাজ হবে যেখানে আপনাকে সপ্তাহে তিন দিন কাজ করতে হবে। এমন একটি পৃথিবী আসতে পারে, যেখানে সমস্ত খাদ্য এবং পণ্য মেশিন দ্বারা তৈরি করা হবে । তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে, আর এমনিভাবে আর সেখানে প্রয়োজন হতে পারে এয়াই প্রযুক্তির।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X