November 21, 2024
আরও সুন্দর হওয়ার চেষ্টায় প্লাস্টিক সার্জারিতে মৃত্যু হলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ক্যারির

আরও সুন্দর হওয়ার চেষ্টায় প্লাস্টিক সার্জারিতে মৃত্যু হলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ক্যারির

আরও সুন্দর হওয়ার চেষ্টায় প্লাস্টিক সার্জারিতে মৃত্যু হলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ক্যারির

আরও সুন্দর হওয়ার চেষ্টায় প্লাস্টিক সার্জারিতে মৃত্যু হলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ক্যারির

প্লাস্টিক সার্জারি বা পুনর্গঠনমূলক সার্জারি একটি অস্ত্রোপচারের বিশেষত্ব যা মানবদেহের পুনরুদ্ধার, পুনর্গঠন বা পরিবর্তনের সাথে জড়িত। এটি দুটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে: পুনর্গঠন এবং প্রসাধনী। পুনর্গঠনমূলক অস্ত্রোপচারের মধ্যে রয়েছে ক্র্যানিওফেসিয়াল সার্জারি, হাতের অস্ত্রোপচার, মাইক্রোসার্জারি এবং বার্ন ট্রিটমেন্ট। প্রসাধনীমূলক অস্ত্রোপচারের লক্ষ্য একটি শরীরের অঙ্গ পুনর্গঠন বা এর কার্যকারিতা উন্নত করা, যখন কসমেটিক (নান্দনিক) অস্ত্রোপচারের লক্ষ্য তার রূপ বা আকৃতি উন্নত করা।

বর্তমান সৌন্দর্য অনুশীলন হল প্লাস্টিক সার্জারি। কেউ সুন্দর আবার কেউ কেউ কাঙ্খিত ফলাফল না পেয়ে হতাশায় কাটিয়ে দেয় সারা জীবন। আবার অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এই সার্জারিনিয়ে হলিউডও তাই ঘটছে । আর প্লাস্টিক সার্জারির সময়  আর্জেন্টিনার সাবেক বিউটি কুইন ও অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ক্যারি অস্ত্রোপচারের সময় মারা গেছেন।

বলিউড থেকে হলিউডের সেলিব্রিটিরা নিজেদেরকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখাতে প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নেন। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক তারকা প্লাস্টিক সার্জারি করাতেও পরিচিত। এরই মধ্যে, ৪৮ বছর বয়সী আর্জেন্টিনার প্রাক্তন বিউটিশিয়ান এবং হলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ক্যারিরি কসমেটিক সার্জারি করার সময় মারা যান।

ক্যালিফোর্নিয়ার ল্যাটিন আমেরিকান সিনেমার অন্যতম বড় নামি অভিনেত্রী   তিনি। জ্যাকুলিনের মৃত্যুতে হলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকাহত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তার চিকিৎসার সময় বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেয়। যা অবশেষে রক্ত জমাট বাঁধে, যার ফলে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। অভিনেত্রী যখন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তখন তার সন্তান ক্লো এবং জুলিয়ান তার সঙ্গে ছিলেন। খবরে বলা হয়েছে, অভিনেত্রী ও বিউটি কুইনের মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে সান রাফায়েল ভেন্ডিমিয়ারে।

জ্যাকলিন ক্যারিরি তার জেলা সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে, তিনি আর্জেন্টিনায় সান রাফায়েল এন ভেন্ডিমিয়া আঙ্গুর ফসলের উত্সবের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় রানার-আপ হন।

জ্যাকলিন ক্যারি দীর্ঘদিন ধরে সান রাফায়েল পেজেন্টের মুকুট রানী হিসাবে পরিচিত। একজন তরুণী হিসেবে তিনি সান রাফায়েল এন ভেন্ডিমিয়া উৎসবের ভাইস কুইনও ছিলেন। জানা গেছে যে একটি কসমেটিক সার্জারি করার পরে, তিনি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন এবং হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মারা যান।

গত বছর,মেদ ঝরানোর শখে প্লাস্টিক সার্জারি করে মৃত্যু হল কন্নড় নায়িকার। মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রয়াত ‘গীতা’, ‘দোরেসানি’ ধারাবাহিক খ্যাত চেতনা রাজ। বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি চেতনাকে।

যেসব অভিনেত্রী প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন

বলিউড অভিনেত্রীদের সৌন্দর্য কখনই ম্লান হয় না, এই যেন তাদের ভাবনা। তারা মনে করেন  সময়ের সাথে সাথে তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু তারপরও অনেকে সন্তুষ্ট নন। তাই নিজেকে সুপার সুন্দর হিসেবে উপস্থাপন করতে অনেক অভিনেত্রী প্লাস্টিক সার্জারি করেন। কেউ মুখে, কেউ ঠোঁটে আবার কেউ নাকে অস্ত্রোপচার করে। আর এ বিষয়ে জানার জন্য ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই।

শ্রীদেবী: তিনি নাক ও ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করেছেন। যা তাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। তবে ভক্তদের সমালোচনা এড়াতে পারেননি তিনিও ।

ক্যাটরিনা কাইফ: শারীরিক গঠন ও সৌন্দর্যে তিনি কম নন। আবার উচ্চতাও বেশ ভালো। তারপরও দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ঠোঁট ও নাকে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ঐশ্বরিয়া: ঐশ্বরিয়া তার সৌন্দর্যের কারণে বিশ্বসুন্দরী খ্যাতি অর্জন করেছেন। কিন্তু তারপরও হয়তো সে তার সৌন্দর্যে খুশি ছিলেননা। সে কারণেই হয়তো বিউটি সার্জারি করিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

শিল্পা শেঠি: নাকের উন্নতির জন্য তিনি একাধিকবার প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন।

আনুশকা শর্মা: এই অভিনেত্রীও তার হাসি সুন্দর করতে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। অস্ত্রোপচার করে ঠোঁটের আকৃতি বদলেছেন এই অভিনেত্রী।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া: প্লাস্টিক সার্জারি করে নাকের সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েন এই অভিনেত্রী।

কারিনা কাপুর: কারিনা কাপুরও অস্ত্রোপচারের পথে হাঁটলেন। তার চেহারায় আমূল পরিবর্তন দেখা গেল।

কাজল: অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে এটি তাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে ঠিকই , কিন্তু আগের চেহারা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি ।

প্রীতি জিনতা: প্রীতি জিনতাও ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন।

আয়েশা টাকিয়া: এক সময় পুরো বলিউড মুগ্ধ ছিল এই অভিনেত্রীর রূপ দেখে।  নিজের ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করে বড় বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি। সে অচেনা মূখে  তার মাধুর্য চলে যায় । এরপর তাকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি।

কারিশমা কাপুর: ঠোঁটের অস্ত্রোপচারের পর তার সৌন্দর্যের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু সেই মাধুর্য মিশ্রিত  মাধুরী আর নেই তার মধ্যে। অনেকেই বলেছেন, তিনি আগেই  বেশি সুন্দরী ছিলেন।

বনি কাপুর: ঠোঁট ও নাকের অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি বদলে গেছেন বনি কাপুর। তবে তার প্রত্যাবর্তন দেখে মানুষ তা বুঝতে পেরেছিল ভালোই ।

মালাইকা: ঠোঁটের অস্ত্রোপচারের পথে হাঁটলেন মালাইকাও।

কোয়েনা মিত্র: অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি বদলে গেছেন বলিউড অভিনেত্রী কোয়েনা মিত্র।

শ্রুতি হাসান: শ্রুতি হাসানের ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এ কারণে অনেক দিন মেয়ের সঙ্গে কথা বলেননি বাবা কমল হাসান।

অদিতি হায়দারি: সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার।

রাখি সাওয়ান্ত: তিনি নাক ও ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করেছেন।

মিনিশা লাম্বা: ঠোঁটের অস্ত্রোপচারের পর অনেকটাই বদলে গেছেন অভিনেত্রী মিনিশা ।

কঙ্গনা রানাউত: মাঝে মাঝেই বিভিন্ন শিরোনামে থাকেন এই নায়িকা। তার ঠোঁটের অস্ত্রোপচার হয়েছে। শুধু ঠোঁট নয় স্তন ও চোখের পাতারও অস্ত্রোপচার করা হয় তার ।

এমনিভাবে এই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে বিনোদন জগতের অনেকেই তাদের আকৃতিকে পরিবর্তন করে সৃষ্টিকর্তার সৌন্দর্যের উপরে আরেকটু সৌন্দর্য বাড়াতে চেয়েছেন । কেউবা সফল হয়েছেন,  কেউ হারিয়েছেন তাদের জীবন। কেননা কারও ঠোঁটের আকৃতি বদলেছে, কারও মিল্কবিট । অন্য কারো নাক। বিনোদন জগতে নিজেকে ‘জুৎসই’ করতে শরীর ছিঁড়েছেন বেশ কয়েকজন নায়িকা। তবে অস্ত্রোপচারের পর সবাই সুন্দর হয়ে ওঠেনি। অনেকের ক্ষেত্রে উল্টোটাও হয়েছে। অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হয়ে  প্রাণ হারিয়েছেন রুপালি পর্দার অনেক ফেরিওয়ালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X