নিউইয়র্কে প্রকাশ্যে আজানের অনুমতিঃ মুসলিমদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার
নিউইয়র্ক প্রায় ৮ লাখ মুসলমানের আবাসস্থল, যা শহরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সমস্ত মুসলমানের ২২ শতাংশ নিউইয়র্কে বসবাস করে।
রমজান মাসের স্বীকৃতির পর, নিউইয়র্ক সিটির মসজিদগুলোকে দিনে পাঁচবার নামাজের আযান সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২৪ আগস্ট একটি সার্কুলারে, শহরের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ডেপুটি কমিশনার মার্ক টি. স্টুয়ার্ট মুসলিম আমেরিকানদের এই বিশেষ আনন্দের বার্তা দিয়েছেন।
‘SAFEST’ (South Asian American Fund for Scholarship and Training) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মাজেদা উদ্দিন মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মাজেদা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নগর পরিষদের এই সিদ্ধান্তের জন্য অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে।আশা করছি শিগগিরই দুই ঈদের দিনে সিটির সকল অফিস-আদালতেও মুসলমানদের জন্য সবেতন ছুটির বিধি এবং জুলাই মাসকে ‘মুসলিম ঐতিহ্যের মাস’ হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আলচনায়ও আমরা সফল হব।
মুসলিম সম্প্রদায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় ঘোষণায় এখানে বসবাসরত মুসলিমদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। যাইহোক, নিউ ইয়র্ক স্টেট সাউন্ড ল অনুযায়ী, সকাল ৯ টার আগে এবং সূর্যাস্তের পরে অনুমতি ছাড়া কোথাও উচ্চ শব্দ/মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সে কারণে ফজর ও এশা ছাড়া এখন থেকে জোহর, আসর ও মাগরিব তিন ওয়াক্ত নামাজের আর অনুমতি লাগবে না। তবে এই তিন ওয়াক্ত আযানের মধ্যেও শব্দের সীমা মানতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের সুবিধা-অসুবিধার কথাও মাথায় রাখতে হবে।
বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আতিকুর রহমান বলেন, এই অনুমতি অন্য ধর্মের মানুষকে ইসলাম জানার সুযোগ দেবে। তিনি মসজিদ কমিটির কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান যাতে সুরেলা কন্ঠে আযানকে অগ্রাধিকার দেয় ।
নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব মোহাম্মদ আজির উদ্দিন বলেন, এটা খুবই খুশির খবর। আমেরিকার বুকে প্রকাশ্যে আল্লাহু আকবর বলার স্বপ্ন ছিল।
আল্লাহু আকবর-আল্লাহু আকবরের সুরেলা ধ্বনি এখন ছড়িয়ে পড়বে নিউইয়র্কের বাতাসে। চার দেয়ালের মধ্যে আজানের ধ্বনি এখন প্রকাশ পাবে। নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়রের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স অফিস শনিবার (24 আগস্ট) প্রার্থনার জন্য জনসাধারণের আহ্বান অনুমোদন করেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় ঘোষণায় এখানে বসবাসরত মুসলিমদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। যাইহোক, নিউ ইয়র্ক স্টেট সাউন্ড ল অনুযায়ী, সকাল ৯টার আগে এবং সূর্যাস্তের পর অনুমতি ছাড়া কোথাও জোরে আওয়াজ/মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সে কারণে ফজর ও এশা ছাড়া এখন থেকে জোহর, আসর ও মাগরিব তিন ওয়াক্ত নামাজের আর অনুমতি লাগবে না। প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের সুবিধা-অসুবিধার কথাও মাথায় রেখে এই তিন ওয়াক্ত আযানের মধ্যেও শব্দের সীমা মানতে হবে। ।
এদিকে প্রকাশ্যে আজান দেওয়ার অনুমতি পাওয়ায় উৎসবের মেজাজে রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়। তারা বলেন- নামাজ ইসলামের অন্যতম কর্তব্য। প্রার্থনার সুরেলা আযান এখন প্রকাশ্যে দেওয়া যেতে পারে।
যা ভালো খবর। বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি, ভারতীয় মুসলিম সেলিম রেঙ্গেজ বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে জনসম্মুখে আযান দেওয়ার অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অবশেষে আজ সফল। এই অনুমতি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অন্য ধর্মের অনুসারীদের ইসলামকে জানার সুযোগ হবে। আযানের কারণে অন্য ধর্মের মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়ে সেদিকে তারা সব মসজিদ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আতিকুর রহমান বলেন, এই অনুমতি অন্য ধর্মের মানুষকে সুন্দর জীবন ব্যবস্থা ইসলাম জানার সুযোগ দেবে। তিনি মসজিদ কমিটির কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান যাতে সুরেলা কন্ঠে আযান দিতে। নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের অনেক মুসল্লিই বলেন, “এটি খুবই খুশির খবর। আমেরিকার বুকে প্রকাশ্যে আল্লাহু আকবর ধ্বনি শোনার বড় আকাঙ্ক্ষা ছিল। আজ তা পূরণ হলো। তিনি জনসাধারণের আজানের অনুমতি দেওয়ার জন্য নিউইয়র্কের মেয়র সহ সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের প্রথম মুসলিম বিচারক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নুসরাত
গরুর মাংস রাখার অভিযোগে হামলা করে মুসলিম হত্যা
মুসলিম নাম বদল প্রসঙ্গ, দেশকে অগ্নিগর্ভ করে তুলবেন না: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিউইয়র্কের মুসলমানরা যার মাধ্যমে বোঝা যায় যে তারা মুসলিম এবং তারা নিজ দেশেই বসবাস করছেন। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এবং তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। আমাদের অনুমোদন অন্যান্য এলাকাও এরকম অনুমোদন পেতে সাহায্য করবে.
আজান শোনার মুহূর্ত সকল মুসলিমের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
1 Comment