রাশিয়া আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম মেনে নেবে না
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিদ্রোহের পুরোভাগে রয়েছে রাশিয়া। সোমবার (৫ জুন) তাজিকিস্তান সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ একথা বলেন।
লাভরভ আরও বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার কূটনৈতিক মহল আবারও বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যস্ততা বাড়াচ্ছে।
তাজিকিস্তানের দুশানবে শহরে রুশ সৈন্যদের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকায় ফিরে আসছি। এই অঞ্চলের অনেক দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমরা কখনই তাদের আরোপিত নিয়ম মেনে নেব না। ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশ তাদের মোহ হারাতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম মেনে নেবে না। রাশিয়া পশ্চিমা চাপ প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা মস্কোকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এটিকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে । বাস্তবতা হলো তারা রাশিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে ল্যাভরভ বলেন, “তাদের নীতির লক্ষ্য বিশ্বের কিছু অংশকে অস্থিতিশীল করা, যাতে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে পারে।” এভাবেই ওয়াশিংটন অন্যদের তাদের আদেশ মানতে বাধ্য করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ সেনারা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ করে আসছে। ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি।
কিন্তু রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের চলমান অস্ত্র সহায়তা রুশ সামরিক অভিযান বন্ধ করেনি। বিপরীতে, রাশিয়ান সৈন্যরা শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রেকর্ড সংখ্যক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, তারা চীন ও ভারতে সবচেয়ে বেশি গ্যাস ও তেল রপ্তানি করে। এমনকি ক্রেমলিন এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যেখানে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার অবস্থান কার্যত নিরপেক্ষ।