মেক্সিকোতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিককে অপহরণের পর হত্যা
মেক্সিকোতে অপহরণের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের চার নাগরিকের মধ্যে দুইজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বাকি দুজন স্বদেশে ফিরেছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য সীমান্তের ওপাশে মেক্সিকোর তামাউলিপাস রাজ্যের মাতামোরোস শহর থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয় ওই চার আমেরিকানকে। স্বজনদের ভাষ্য, তারা কসমেটিক সার্জারির জন্য গাড়ি চালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন।
মাতামোরোস থেকে যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা হলেন জিনডেল ব্রাউন ও শায়েদ উডার্ড। তাদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়ায় স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
একই এলাকা থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার দুজনের মধ্যে একজনের নাম লাতাবিয়া তে ম্যাকগি, তিনি নারী। অপরজনের নাম এরিক জেমস উইলিয়ামস।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তামাউলিপাস রাজ্যের গভর্নর আমেরিকো ভিয়ারিয়াল বলেন, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২৪ বছর বয়সী হোসে এন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তামাউলিপাস রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ইরভিং বারিওস মোজিসা এক বার্তায় জানান, স্থানীয় কনস্যুলেটের সহযোগিতায় মঙ্গলবারই জীবিত দুজনকে ভারী অস্ত্রসজ্জিত সামরিক বহরের নিরাপত্তায় স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এই হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্বজন ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের গভীর শোক।
গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই চারজনকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ৫০ হাজার ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।
কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পর এফবিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যারা এই হামলার পেছনে জড়িত, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আন্তর্জাতিক অংশীদার ও সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে এফবিআই।
তামাউলিপাস প্রতিবেশী মেক্সিকোতে ছয়টি রাজ্যের মধ্যে একটি যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অপহরণ এবং অপরাধের মাত্রার কারণে ভ্রমণের বিরুদ্ধে পরামর্শ দেয়।
তদন্তকারীদের মতে, সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠী ‘গালফ কার্টেল’ এই হামলার পিছনে জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু এটা স্পষ্ট নয় যে এই আমেরিকানরা পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছিল নাকি প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক ব্যবসায়ীদের ক্রসহেয়ারে পড়েছিল।