চীনা উচ্চ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র
প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ অর্থনীতির উচ্চ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছে । শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারি ও বাণিজ্য বিভাগের প্রস্তাবিত প্রতিবেদনের এ তথ্য জানিয়েছে।
বিধি-নিষেধগুলো সম্ভবত সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং উত্পাদনে ব্যক্তিগত ও উদ্যোগের মূলধন বিনিয়োগকে লক্ষ্য করবে। এর বেশির ভাগই চীনের বিরুদ্ধে লক্ষ করা হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
যেই দেশগুলো এই পদক্ষেপে প্রভাবিত হবে বা অর্থনীতির প্রকৃত যেই ক্ষেত্রগুলোকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখা হবে প্রতিবেদনে সেই দেশগুলোর নাম নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। তবে মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে পারে এমন ক্ষেত্রের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে রয়েছে।
ট্রেজারি প্রতিবেদনে উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগের নতুন নিয়মগুলো ‘মার্কিন বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসার ওপর অযথা বোঝা হবে না, বরং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে মার্কিন পুঁজি এবং দক্ষতাকে কাজে লাগাতে বাধা দেবে।’
এদিকে ওয়াশিংটন বেশ কয়েক মাস ধরে নতুন প্রবিধান নিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে। চীনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি রোধে মার্কিন প্রচেষ্টার আরেকটি পদক্ষেপ হবে বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ, যা ওয়াশিংটন বিপজ্জনক বলে মনে করে। গত বছরের শেষের দিকে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন চীনকে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রযুক্তি পাওয়া থেকে বিরত রাখতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল। ওয়াশিংটন দাবি করেছিল, সেগুলো সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে।
জবাবে বেইজিং আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে অভিযোগ জানায়। চীন যুক্তি দিয়েছে যে, মার্কিন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা “আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিবে”।