যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে আসছে গণতন্ত্র সম্মেলনে এবারও আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ। আগামী ২৯ ও ৩০শে মার্চ ভার্চুয়ালি ওই বৈশ্বিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনটি লক্ষ্যে অঙ্গীকার পূরণের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আসন্ন সম্মেলনে আলোচনা হবে।
১. কর্তৃত্ববাদী সরকারকে প্রতিহত করা,
২. দুর্নীতি দমন ও
৩. মানবাধিকার সমুন্নত রাখা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রের বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সে সম্মেলনে ১১০টি দেশের প্রায় সাড়ে সাতশ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। সেই সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি। তখন ঢাকার তরফে পরবর্তী সম্মেলন অর্থাৎ দ্বিতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছিল।
কিন্তু, এবারও সেটা হয়নি। মার্কিন গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ খুব একটা চিন্তিত নয়। গণতন্ত্রের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানালেই গণতন্ত্র ভালো প্রমাণ হবে তা কিন্তু নয়- এমন মন্তব্য করে সচিব বলেন, কোন দেশকে কি বিবেচনায় আমন্ত্রণ করা হয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রই ভালো বলতে পারবে।
কোস্টারিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং জাম্বিয়া এবারের গণতন্ত্র সম্মেলনের সহ-আয়োজক। সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপসহ বিশ্বের ১১১টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদিকে একটি দায়িত্বশীল সূত্র রাতে গণমাধ্যমকে জানায়, গণতন্ত্র সম্মেলনে বাইডেন আমন্ত্রণ জানানোর পূর্বশর্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রিম প্রতিশ্রুতি চেয়েছে। কিন্তু ঢাকা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিতে পারেনি। ফলে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ঝুলে যায়!