আসাদ সরকারের সাথে যোগাযোগ ছাড়াই সিরিয়ার পাশে দাঁড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়া উভয়ের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশটি এখনো সিরিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, সিরিয়ায় বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে সাহায্য পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। এই সাহায্য কর্মসূচিতে তারা সিরিয়া সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবে না। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবর অনুযায়ী, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না যুক্তরাষ্ট্র। আসাদ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী হলেও ওয়াশিংটন দাবি করে আসছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। নেড প্রাইস বলেছেন, সিরিয়ায় সাহায্য পাঠানোর ক্ষেত্রেও আসাদ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে না। তিনি বলেন, সিরিয়ার সরকারের সাথে যোগাযোগ করা খুবই বিদ্রূপাত্মক হবে, এমনকি তা তাদের নীতির বিরুদ্ধে না হলেও। এক শতাব্দী ধরে জনগণের ওপর ‘নিপীড়ন’কারী সরকারের সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে চাই না। এনজিওর মাধ্যমে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে হাজার হাজার মানুষ। মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হতে পারে। নেড প্রাইস সোমবার বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে উভয় দেশে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য সহায়তা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও সিরিয়া সরকারের ব্যাপারে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার ওপর দিয়ে একটি গ্যাস পাইপলাইন টানতে বাধা দেয়ায় বাশার আল-আসাদের সঙ্গে পশ্চিমাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে ২০১১ সাল থেকে অব্যাহতভাবে আসাদকে পদত্যাগের চাপ দিয়ে আসছে। ওই বছরই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যাতে যুক্তরাষ্ট্রও একটি পক্ষ হয়ে ওঠে। এখনও সিরিয়ায় মার্কিন সেনারা রয়ে গেছে। পুরো যুদ্ধে লাখ লাখ সিরিয়ার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও লাখ লাখ। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্র এখন সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এগিয়ে এসেছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানেই রয়ে গেছে।