যুক্তরাষ্ট্রে আপন দুর্নীতির কথা নিজে থেকে জানালে জরিমানা কমবে ৭৫ শতাংশ
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেনেথ পোলাইট জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে কর্পোরেট-দুর্নীতি কমাতে এই বিশেষ কর্মসূচির বিষয়ে কথা বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বৃহৎ মার্কিন কোম্পানি ও কর্পোরেশনে অনিয়ম ও দুর্নীতি কমাতে একটি অভিনব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেনেথ পোলাইট বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি ল সেন্টারে দেওয়া এক বক্তৃতায় বলেন, যদি সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনগুলি কর্পোরেট প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন প্রয়োগের আগে স্বেচ্ছায় বিচার বিভাগকে তাদের অপকর্মের কথা জানায়। অপকর্ম, জরিমানাসহ যাবতীয় শাস্তির পরিমাণ ৭৫ শতাংশ কমানো হবে। এই বিভাগের কর্পোরেশনগুলিকেও তদন্তে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেনেথ আরও উল্লেখ করেছেন যে এমনকি যে কর্পোরেশনগুলি স্বেচ্ছায় অনিয়ম এবং দুর্নীতি প্রকাশ না করে। কিন্তু তারা তদন্তে সম্পূর্ণ সহায়তা প্রদান করলেও জরিমানা ৫০ শতাংশ মাফ পাবে।
অ্যাটর্নি কেনেথ বলেন, আমরা কাউকে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে নই। আমরা সব কিছু নিয়মের মধ্যে রাখতে চাই। কম শাস্তির এই স্কিমের অধীনে গুরুতর অপরাধ সংজ্ঞায়িত করা হয়। এছাড়া কিছু কোম্পানি তদন্তের সময় খোলামেলাভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি কেন করেছে তা জানালে তাদের পুরো জরিমানা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
এমন পরিস্থিতি থেকে এই বিশাল খাতকে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে এমন সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা।
অ্যাটর্নি কেনেথ আরও বলেন, ‘যেসব কোম্পানি জেনেশুনে তাদের দুর্নীতি ও অনিয়ম গোপন করবে, অর্থাৎ জরিমানা ও জরিমানার এই সুযোগ নিতে চায় না, তাদের বিদ্যমান শাস্তি দ্বিগুণ হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর বেশ কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করতে সক্ষম হয় বিচার বিভাগ। তবে সে ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ব্যয়ের পরিমাণও বেড়েছে। সেই সব দিক বিবেচনা করে জরিমানা ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে।