ইউক্রেনকে সমর্থন করবে জি-৭: ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার বারবার হামলার তীব্র নিন্দা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি বছরের(২০২২) এর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। এরপর বুধবার(১২/১০/২০২২) পর্যন্ত ২৩১ দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চলছে। সম্প্রতি ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এমন প্রেক্ষাপটে শিল্পোন্নত জি-৭ দেশগুলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা বলেছে, যতদিন প্রয়োজন হবে তারা ইউক্রেনকে সমর্থন দেবে।
জরুরী ভার্চুয়াল বৈঠকে, তারা ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার বারবার হামলার তীব্র নিন্দা করে এবং বলেছে যে তারা ইউক্রেনকে সামরিক, কূটনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা দেবে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোও বলেছে যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন তারা ইউক্রেনের পাশে থাকবে।
সোমবার রাজধানী কিয়েভ এবং ইউক্রেনের জুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছে। মঙ্গলবারও হামলা চালায় রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রিমিয়ার সেতুতে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জি-৭ বৈঠকে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অনুরোধ করেন। তিনি বেলারুশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনেরও দাবি জানান।
কিন্তু জি-৭ নেতারা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিধান বা বেলারুশিয়ান সীমান্তে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের জন্য জেলেনস্কির দাবির জবাবে অবিলম্বে কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেননি বলে জানা গেছে।
