আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা , করোনাভাইরাস মহামারী কমে যাওয়ার পরে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য হার অনুমান করেছে বাস্তবে তা অনেক কম হওয়ায় একটি বড় বৈশ্বিক মন্দা শুরু হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর’২২) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে এক আলোচনা সভায় আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এ আশঙ্কার কথা বলেন। বৈঠকে তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য আইএমএফ যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তা প্রকৃত বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে তিনগুণ কমানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ মহামারীর প্রাথমিক ধাক্কা মোকাবেলা করার পর আশা করা হয়েছিল যে ২০২২ সালের শুরুতে, ২০২৩ সালের মধ্যে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার কমপক্ষে ৩.২ শতাংশ হবে। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা তিনবার সংশোধন করা হয়েছে। এখন অনুমান করা হচ্ছে আগামী বছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধির হার হবে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিমধ্যে মন্দা শুরু হয়েছে এবং এর ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। একদিকে ডলারের মূল্য বাড়ছে, অন্যদিকে জ্বালানি তেলের বাজারে এরই মধ্যে মন্দা শুরু হয়েছে। তেলের দাম কমলেও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক দেশ তেল কিনতে পারছে না।
ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির চাকা ঠিকমতো এগোচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দুই বছরে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ অর্থনীতি সংকুচিত হতে প্রবে।
ফলস্বরূপ, ২০২৬ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উৎপাদন প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার কমে যাবে। আইএমএফ বিশ্বাস করে যে এই ঘাটতি খুব দ্রুত মেটানো সম্ভব হবে না।