February 1, 2025
ফিলিস্তিনের পূর্ণ স্বাধীনতা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র

ফিলিস্তিনের পূর্ণ স্বাধীনতা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র

ফিলিস্তিনের পূর্ণ স্বাধীনতা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র

ফিলিস্তিনের পূর্ণ স্বাধীনতা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র

ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন হল মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত একটি ভূখণ্ড, যা ভূমধ্যসাগর এবং জর্ডান নদীর মাঝখানে অবস্থিত। ফিলিস্তিন এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা এই তিনটি মহাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান। এটি ইসলাম এবং খ্রিস্টধর্মের জন্য মহা পবিত্র স্থান। ভৌগোলিক অবস্থান এবং দুটি প্রধান ধর্মের জন্মস্থানের কারণে, ফিলিস্তিন নামক ভূখণ্ডের স্বাভাবিকভাবেই ধর্ম, সংস্কৃতি, বাণিজ্য এবং রাজনীতির দীর্ঘ এবং অস্থির ইতিহাস রয়েছে। প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র কেমন যেনো  মধ্যপ্রাচ্যের একটি নির্বাসিত রাষ্ট্র।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে, ইসরায়েল হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তারা বারবার গাজার জনসংখ্যার বেশিরভাগকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং হাসপাতালগুলিতে বোমা হামলা চালিয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হত্যা করেছে। সমগ্র জনসংখ্যা অনাহারে রয়েছে এবং তাদের ইতিহাস মুছে ফেলা হচ্ছে। বিশ্বের ধনী এবং শক্তিশালী সরকার এবং তাদের মিডিয়া এই আগ্রাসনকে নৈতিক ও বস্তুগত সহায়তা প্রদান করছে। এই দেশগুলি এবং ইসরায়েলের অবস্থানের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। গত বছরই, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তার জন্য ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।

সেই পরিস্থিতে  ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেছেন যে, দখলদার শক্তিকে পরাজিত করা এখন খুবই সম্ভব এবং ফিলিস্তিনের পূর্ণ স্বাধীনতা এখন নাগালের মধ্যে এবং কেবল সময়ের ব্যাপার।

শুক্রবার এক ভাষণে তিনি বলেন, “হামাসের গৌরবময় আল-আকসা ফ্লাড  যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের জনগণ এবং তাদের সাহসী প্রতিরোধ তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে।”

খলিল আল-হাইয়া বলেন, এর মূল বিষয় এটাই যে,দখলদার শক্তিকে অপমানিত করা হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায়, অহংকারী শক্তিকে মাটিতে নামানো হয়েছে এবং ইহুদি রাষ্ট্র এবং তার সেনাবাহিনী উভয়েরই অজেয় হওয়ার  মিথ্যা অহমিকা ধ্বংস হয়েছে।

হামাসের শীর্ষ এই নেতা বলেন, যুদ্ধ এখন বন্ধ হয়ে গেছে এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি অনেকাংশে স্বাভাবিক হয়েছে। এ কারণেই স্বাধীনতা আন্দোলন আনুষ্ঠানিকভাবে তার বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের শহীদ তালিকা প্রকাশ করেছে। যারা এই পবিত্র ভূমিকে তাদের বিশুদ্ধ রক্তে সিক্ত করেছেন।

খলিল আল-হাইয়া বলেন, এই নেতারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সংগ্রামের পতাকা নতুন প্রজন্মের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। যারা আল-কুদস এবং আল-আকসার দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখবে, মহান প্রত্যাবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে।

হামাস নেতা বলেন, এই সংগঠন, রহমত স্বরূপ, প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বদা অগ্রভাগে ছিল। এটি একই বাঙ্কারে আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং তাদের ত্যাগ আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিল।

হামাসের শহীদ নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে খলিল আল-হাইয়া বলেন, “আমরা এই মহান নেতাদের বিদায় জানাচ্ছি। যাদের সাথে আমরা বহু বছর ধরে বসবাস করেছি এবং কাজ করেছি।”

আরও জানুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X