আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ আশ্রয়ে
লেবাননের যোদ্ধা সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে হিজবুল্লাহর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গাজা যুদ্ধ, লেবাননে নতুন করে যুদ্ধ এবং হাসান নাসরাল্লাহ হত্যার খবর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এরই মধ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে গোপন জায়গায় রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দুই আঞ্চলিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে যাদের তেহরান থেকে তথ্য সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছিল। এর আগে একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে ইরানের একটি বিমান লেবানন বা সিরিয়ায় উড়ছে। কিন্তু তারা জানতে পেরেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বিষয়টি জানার পর বিমানটি ইরাকের আকাশসীমা থেকে ইরানে ফিরে আসে। উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লেবাননে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা যেকোনো সময় পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে। এ বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে বিশ্বনেতারা যখন জাতিসংঘে যুদ্ধের অবসান ও শান্তির পথের আহ্বান জানাচ্ছিলেন, তখন লেবাননের ভূমি বোমায় পুড়ছিল। রাতে লেবানন বোমায় আলোকিত হয়।
অন্যদিকে বিবিসি বলছে, তার অফিসিয়াল পেজে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আঞ্চলিক শক্তিকে হিজবুল্লাহকে সমর্থন ও তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি হাসান নাসরাল্লাহর নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি প্রথমে “লেবাননের অরক্ষিত মানুষ” হত্যার নিন্দা করেন। বলেন, এতে ইসরায়েলি নেতাদের অদূরদর্শিতা ও মূর্খতার নীতি প্রমাণিত হয়েছে।
ইসরায়েলি অপরাধীদের অবশ্যই জানতে হবে যে তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিগুলির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে খুব ছোট। হিজবুল্লাহ সব আঞ্চলিক প্রতিরোধ শক্তি দ্বারা সমর্থিত ও সমর্থিত। তিনি সকল মুসলমানদেরকে লেবানন ও হিজবুল্লাহর জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে তাদের সমর্থন করারও আহ্বান জানান তিনি।