গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টার আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই প্রস্তাব পাস হয়।
মৌরিতানিয়া এবং মিশর গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল। বাংলাদেশ ও ভারতসহ ১৫৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ১০টি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়।
সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সকল জিম্মিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে এবং যুদ্ধরত পক্ষগুলিকে আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ একটি প্রস্তাব পাস করেছে। বাংলাদেশ সময় ভোর চারটার আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রস্তাবটি পাস হয়।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে মৌরিতানিয়া ও মিশর এই প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ, ভারতসহ ১৫৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ১০টি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
বেশিরভাগ সময়, ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ১৪০ বা তার বেশি জাতিসংঘের দেশ ভোট দিচ্ছে। যাইহোক, তবে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট সেই সংখ্যাও ছাড়িয়ে গেছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি যে পাস হবে, তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল। অবশ্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক নয়। যদিও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে বৈশ্বিক মনোভাব বোঝা যায়।
গত শুক্রবার, সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়। এ কারণে গাজায় রক্তপাত বন্ধের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি পাস করেছে। মঙ্গলবার রাতে প্রস্তাবটি ১৫৩-১০ ভোটে পাস হয়। ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। বিপক্ষে ভোট দেওয়া ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক নয়, তবে এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রস্তাবটি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করবে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দীর্ঘদিন ধরে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু মার্কিন ভেটোর কারণে তা কার্যকর করা যাচ্ছে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের কিছু অংশ সংশোধন করতে চেয়েছিল। এতে ‘হামাসের জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা… এবং মানুষকে জিম্মি করার’ নিন্দা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করা হয়েছে।আর অস্ট্রিয়া হামাসের হাতে থাকা পণবন্দী শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সমর্থনের অভাবে উভয় সংশোধনীই প্রত্যাখ্যান করা হয়।
জাতিসংঘে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম হামাসের নাম অন্তর্ভুক্ত করার উভয় প্রস্তাবের বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন যে কাউকে দোষ দিতে হলে উভয় দেশ, বিশেষ করে ইসরাইলের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সাধারণ পরিষদে তিনি বলেন,’যখন আপনি জনসাধারণের স্বাধীনতা ও মর্যাদা অস্বীকার করবেন। যখন তাদেরকে খোলা কারাগারে অপমান করবেন, ফাঁদে ফেলবে্ন , যখন পশুর মতো তাদের হত্যা করবেন , তখন তারা খুবই ক্ষুব্ধ হবে, তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তারা তাই করবে। .’
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর সাধারণ পরিষদে পাস করা প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে বিশ্ব একটি শক্তিশালী, মহান ও বড় মাপের অবস্থান প্রকাশ করেছে।’
তিনি বলেন, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে সাধারণ পরিষদে ১২০টি ভোট পেয়েছিল। এবার তার চেয়ে ৩০ ভোট বেশি।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। ফলস্বরূপ, ১৮,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার বাসিন্দার ৮০% উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। আর সেই অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অবিলম্বে অবৈধ দখলদার ইসরাইলের বর্বর চরম পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস করে।