November 25, 2024
লিখতে-পড়তে না জানা, ইয়ামেনি নারীর ৬৬ বছর বয়সে কুরআন হিফজ (পুরো কুরআন মুখস্ত) করে বিস্ময় সৃষ্টি

লিখতে-পড়তে না জানা, ইয়ামেনি নারীর ৬৬ বছর বয়সে কুরআন হিফজ (পুরো কুরআন মুখস্ত) করে বিস্ময় সৃষ্টি

লিখতে-পড়তে না জানা, ইয়ামেনি নারীর ৬৬ বছর বয়সে কুরআন হিফজ (পুরো কুরআন মুখস্ত) করে বিস্ময় সৃষ্টি

লিখতে-পড়তে না জানা, ইয়ামেনি নারীর ৬৬ বছর বয়সে কুরআন হিফজ (পুরো কুরআন মুখস্ত) করে বিস্ময় সৃষ্টি

৬৬ বছর বয়সে কুরআন হিফজ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন ইয়ামেনি নারী আছিয়া আহমাদ। 

আছিয়া আহমাদ ; এরই মধ্যে জীবনের ৬৬ বছর পূর্ণ করেছেন। জীবনের এই পড়ন্ত বেলাতেই পবিত্র কুরআনে ।কারিম হিফজ করে রীতিমতো বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন তিনি। আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হলো– পড়তে বা লিখতে– কোনোটাই জানেন না আছিয়া। শুধুমাত্র শুনে শুনেই কঠিন এ কাজটি সম্পন্ন করেছেন এই ইয়ামেনি নারী।

এ প্রসঙ্গে আছিয়া আহমাদ বলেন, ‘আমি রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইলে কুরআন শুনতাম। আমার হৃদয়টা কুরআনের সাথেই লেগে থাকত।’

‘আসলে আমাকে আমার দৃঢ় সংকল্প কুরআন হিফজের প্রতি প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করে রাখত। সম্পূর্ণ কুরআন হিফজ করার প্রতি বিশেষ আগ্রহই আমার দৃঢ় সংকল্প ছিল।’ বললেন আছিয়া।

মায়ের হিফজ প্রসঙ্গে আছিয়া আহমাদের ছেলে বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে মধ্যরাতের পর তার কক্ষে প্রবেশ করে দেখতাম– তিনি নামাজ পড়ছেন, কাঁদছেন। আর  তার হৃদয় ভারাক্রান্ত সেটি আমি  অনুভব করতাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলাম– কাঁদছো কেন মা? তিনি উত্তর দিলেন, আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি– তিনি যেন আমাকে সাহায্য করেন ও আমার জন্য পবিত্র কুরআন হিফজ সহজ করে দেন।’

আছিয়া আহমদ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৮ সালে কুরআন মুখস্থ করা শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে তার শিক্ষক বলেন, ‘তার কুরআন হিফজ খুবই কঠিন ছিল। কারণ সে পড়তে বা লিখতে জানে না। এজন্য আমরা হিফজ যাওয়ার পথে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে, আছিয়ার কঠোর পীড়াপীড়ির কারণে এই মহান সর্বশ্রেষ্ঠ  পবিত্র গ্রন্থটি মুখস্ত করা সম্ভব হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X