November 9, 2024
মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন  পেটংটার্ন 

মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন  পেটংটার্ন 

মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন  পেটংটার্ন 

মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন  পেটংটার্ন 

পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রা -৩৭, পিউ থাই পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নেয়ার থাকসিনের-৭৫ এর কনিষ্ঠ সন্তান। পেটংটার্ন পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রা শুক্রবার সহজেই নির্বাচিত হন, কারণ তার দল এবং তার মিত্রদের পার্লামেন্টে ৪৯৩আসনের মধ্যে ৩১৪ টি আসন রয়েছে এবং তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বর্তমান আইনপ্রণেতাদের অন্তত অর্ধেক ভোটের প্রয়োজন ছিল।তিনি ব্যাংককের এলিট রক্ষণশীল ইনস্টিটিউট, চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। সাথে পেটংটার্ন থাইল্যান্ডের অভিজাত স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেছেন।

পেটংটার্ন তার ডাকনাম, তার আসল নাম উং-ইং । তিন বছর আগে রাজনীতিতে আসার আগে তাঁর নাম হয় পেটংটার্ন, তিনি তার পরিবারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের বড় দায়িত্বে ছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ২০২১ সালে, যখন তিনি পিউ থাই পার্টির অন্তর্ভুক্তি এবং উদ্ভাবন উপদেষ্টা কমিটির প্রধান হন। ২০২৩ সালের নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে তিনি তার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন, সেই সময় তিনি একজন পছন্দের প্রার্থী ছিলেন। পেটংটার্ন তার পরিবারের তৃতীয় ব্যক্তি যিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় পদটি নিয়েছেন।

পেটাংটার্ন সিনাওয়াত্রা ৩৭ বছর বয়সে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এখন পর্যন্ত দেশের সর্বকনিষ্ঠ এবং দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। সিনাওয়াত্রা পরিবার কয়েক দশক ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে রাজত্ব করেছে। পেটাংটার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা একজন থাই ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৭  সাল পর্যন্ত রয়্যাল থাই পুলিশে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০১  থেকে ২০০৬  সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি দুর্নীতির কারণে দেশ থেকে বহিষ্কৃত হন। তার শ্যালক ইংলাক সিনাওয়াত্রা পিউ থাই পার্টি থেকে ২০১১ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২৮  তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। ইংলাক ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।

পেটাংটার্ন থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই থাইল্যান্ড সরকারের ডামাডোল চলছে।

একজন প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী, সেথারা থাভিসিন, ঘুষের জন্য কারাগারে দণ্ডিত একজন অপরাধীকে মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ করেছিলেন। এরপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। অবশেষে, কয়েক দিন আগে, নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে থাভিসিনকে মসনদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তার মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। এরপর, প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে পু থাই পার্টির পক্ষ থেকে পেটংটার্নয়ের নাম সমর্থন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে পেটাংটারনয়ের নাম দল অনুমোদন করেছে। তিনি শিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল গ্রুপে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। তার স্বামী গ্রুপের ডেপুটি চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার হিসেবে নিযুক্ত। পিউ থাই ২০২১ সালে পার্টিতে যোগদান করেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে পেটাংটার্নকে দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X