September 7, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
পড়া মুখস্থ করার কিছু বিশেষ কৌশল

পড়া মুখস্থ করার কিছু বিশেষ কৌশল

পড়া মুখস্থ করার কিছু বিশেষ কৌশল

আপনি কি কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন যেখানে আপনি কারও নাম বা কোনও জায়গার নাম মনে করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কিছুই মনে করতে পারছেন না? অনেকেই বলেন বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের স্মৃতিশক্তি কমে যায়। এমনকি যুক্তি করার ক্ষমতাও কমে যায়। তবে,কতিপয় পদ্ধতিতে  মস্তিষ্কের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে।

আমরা প্রায়ই কিছু না কিছু পড়ি। কেউ একাডেমিক বই পড়ে, কেউ গল্প বা উপন্যাস পড়ে। কেউ সায়েন্স ফিকশন, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, ব্লগ ইত্যাদি পড়ে। এত পড়ার পর আমরা খুব কমই মনে করতে পারি। কিছু পড়ার পর, কয়েকদিন পর তা পুরোপুরি ভুলে যাই। আবার কিন্তু কিছু কিছু  অনেকদিন মনে থাকে। কেন এমন হয়?

আমরা অনেকেই বিভিন্নভাবে পড়তে অভ্যস্ত। উদাহরণস্বরূপ, কেউ জোরে পড়ে, কেউ হৃদয় দিয়ে পড়ে, কেউ লিখে এবং পড়ে, কেউ শুয়ে পড়ে। কিন্তু কোন পড়ার স্টাইল বেশি কার্যকর? আসলে, কোন পড়ার স্টাইল এখানে বেশি কার্যকর নয়।

কারণ, জোরে পড়লে কিছুক্ষণ পর ক্লান্ত হয়ে যাবে। মনে থাকলে অনেকক্ষণ পড়তে পারেন, কিন্তু বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন না। কারণ মন যখন শান্ত থাকে তখন অনেক চিন্তা মাথায় আসে। এটি মনোযোগ সরিয়ে দেয়। এবং আপনি বানান এবং বানানে অন্যদের চেয়ে ভাল করতে পারেন। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য পড়া মনে রাখার একমাত্র উপায় নয়। তাহলে উপায়? চলুন জেনে নিই কিছু কার্যকর উপায়

পথ চলতে চলতে মুখস্ত করা:

রোট মেমোরাইজেশনের অনুশীলন বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এবং অভিনেতাদের দ্বারা অনুশীলন করা হয়।

কথিত আছে যে আপনি যদি চলতে চলতে একটি নতুন শব্দ বা নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন তবে তা আরও স্মরণীয় হয়ে উঠেছে ।

ভবিষ্যতে যদি আপনাকে একটি উপস্থাপনা বা বক্তৃতা দিতে হয়, আপনি হাঁটতে হাঁটতে পড়তে পারেন। ড়া মুখস্থ করার কিছু কৌশল-

রিভিশন:

ছোটবেলা থেকে আমরা অনেক কিছুই পড়েছি, কিন্তু সবই কি মনে আছে? উত্তর- না। এর কারণ আমরা রিভিশন দিই না। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে আমরা যখন পড়ি, এক ঘন্টা পরে আমরা যা পড়ি তার ৪৪ শতাংশ মনে রাখি।একদিন পর ৩০ শতাংশ মনে থাকে। আর এক সপ্তাহ পর মাত্র ২০ শতাংশ মনে থাকে। তার মানে, এক সপ্তাহ পর ৮০ শতাংশই ভুলে যাই।  তাই রিভিশনের মাধ্যমে পড়া  মনে রাখা একটি দুর্দান্ত কৌশল। কারণ আমরা যখন পড়ি তখন তা আমাদের মস্তিষ্কের স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিতে জমা হয়ে যায়। রিভিশন মানে পূর্বে হাইলাইট করা বা চিহ্নিত শব্দ বা লাইনের দিকে নজর দেওয়া। তাই মনে রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রিভিশন।

 প্রবল ইচ্ছা বা আগ্রহ:

আপনি যখন পড়বেন তখন আপনার জানার ইচ্ছা বা আগ্রহ থাকা উচিত। যেমন  আপনি যখন ক্ষুধার্ত তখন খাবারের আসল স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। তেমন  জ্ঞানের তৃষ্ণা বা জানার প্রবল ইচ্ছা থাকা বাঞ্চনীয়। তা ছাড়া, আপনি আপনার পড়ার ঘরটি বিভিন্ন জ্ঞানী উক্তি দিয়ে সাজাতে পারেন। এতে পড়ার আগ্রহ বাড়বে।

 অধ্যয়ন পরিকল্পনা:

একটি ভাল পরিকল্পনাই অর্ধেক কাজ। তাই আপনি কী পড়বেন, কখন পড়বেন, কীভাবে পড়বেন, কতক্ষণ বা কতক্ষণ পড়বেন তা পরিকল্পনার অংশ। তা ছাড়া, আপনি কী জানতে চান, কেন জানতে চান, কোন ক্ষেত্রে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন সে সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

 অনুকূল পরিবেশ:

পড়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। আপনার পড়ার অনেক ইচ্ছা আছে, কিন্তু আপনার বাড়ি মেহমান ভরা, তখন আপনার পড়ার জন্য আর অনুকূল পরিবেশ থাকে না। তাই নিরিবিলি পরিবেশ দরকার।

 চিহ্নিতকরণ:

পড়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা লাইন চিহ্নিত করা উচিত। প্রয়োজনে একটি পেন্সিল বা হাইলাইটার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শুধুমাত্র একাধিকবার পড়ার সময় আপনাকে হাইলাইট করা বা চিহ্নিত শব্দ বা লাইনে ব্লিঙ্ক করতে হবে। এতে সময়ও বাঁচবে। এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো অজানা শব্দের অর্থ বা ব্যাখ্যা জানা।

 মূল শব্দ নির্বাচন:

যেকোনো বিষয়ের কয়েকটি মূল শব্দ থাকে – যা দিয়ে পুরো বিষয় মনে রাখা যায়। তাই পড়া মনে রাখার আরেকটি কৌশল হল মূল শব্দ বেছে নেওয়া।

 ভিজ্যুয়ালাইজেশন:

আমরা যখন একটি নাটক বা মুভি দেখি, তখন আমরা সহজেই সেই নাটক বা মুভিটি মনে রাখতে পারি। কারণ হল ভিজ্যুয়ালাইজেশন। আপনি যে বিষয়টি অধ্যয়ন করছেন সেটি যদি ভিজ্যুয়ালাইজ করা যায়—অর্থাৎ ভিডিও, ছবি, গ্রাফ বা চার্ট আকারে উপস্থাপন করা হয়—তথ্য পড়া বা মনে রাখা অনেক সহজ হবে। কারণ দৃশ্যায়ন আমাদের ইন্দ্রিয়কে আরও সজাগ করে তোলে।

 বিরতি:

দীর্ঘ পড়ার জন্য ছোট বিরতি (প্রতিবার ২০-৩০ মিনিট পড়ার পরে ৩-৫ মিনিট) নিয়ে পড়া করা যেতে পারে। এটি পড়ার একঘেয়েমি দূর করে এবং মস্তিষ্কের উপর চাপ কমায়। কারণ একটানা পড়ার পর মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পড়ার পর মস্তিষ্ক আর ভার নিতে পারে না। ফলে পড়ার আগ্রহ আর থাকে না। এটি মনোযোগ হারায়।

শুয়ে শুয়ে মনে রাখা:

ঘুমানোর আগে শুয়ে সারাদিনে যা পড়েছেন তা মনে রাখার চেষ্টা করাও আপনি যা পড়েছেন তা মনে রাখার একটি ভালো উপায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X