September 16, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
শীতে স্বাস্থ্যের জন্য করণীয়

শীতে স্বাস্থ্যের জন্য করণীয়

শীতে স্বাস্থ্যের জন্য করণীয়

শীতে স্বাস্থ্যের জন্য করণীয়

আসছে তীব্র শীত। এই তীব্র শীত শুধু জীবনধারাই নয় স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা। এ সময় সর্দি, টনসিলাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট, বাত, হার্টের সমস্যাসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে হাঁপানি, নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিসসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

তীব্র শীতে বিশেষ করে সকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এই শীতে কুয়াশায় হাঁটার পরিবর্তে রোদ উঠলেই হাঁটা বা ব্যায়াম করা উচিত। তীব্র ঠান্ডার আরেকটি গুরুতর সমস্যা হল হাইপোথার্মিয়া, যা রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। কেউ এ অবস্থায় পড়লে রোগীকে দ্রুত গরম আবহাওয়ায় আনতে হবে, গরম কাপড় পরিয়ে গরম পানি পান করতে হবে।

তাই শীতের তীব্রতায় এসব শারীরিক সমস্যা এড়াতে আতঙ্কিত না হয়ে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় সবার উষ্ণ গরম পানি পান করা উচিত। এটি শ্বাসতন্ত্রে শ্লেষ্মা তৈরি করে এবং রোগজীবাণুকে বহিষ্কার করে। এ ছাড়া গোসল ও অন্যান্য কাজে গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। পরিবারের কেউ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে অন্যদেরও সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করা উচিত।

এই শীতে কমলা, মাল্টা, বেদানা, মধু, তুলসী পাতা, পালং শাক ও সরিষা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, রসুন, পেঁয়াজ, আদা, সবুজ শাকসবজি, গ্রিন টি বেশি করে খেতে হবে। এতে উপস্থিত ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রাণশক্তি বজায় রাখে, খাবার হজমে সাহায্য করে। শরীরের নিস্তেজতা কাটে। তাজা ফল ও সবজিতে রয়েছে বায়োটিন যা ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখে।

তাই শীতে সুস্থ থাকতে যা করবেন:
গরম কাপড় পরা

অনেকে মনে করেন যে সোয়েটার এবং শালের মতো গরম পোশাক পরা হাস্যকর বা বেমানান দেখায়। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

প্রচুর গরম কাপড় পরুন। গায়ে সোয়েটার ও শাল, গলায় মাফলার এবং হাতে-পায়ে মোজা পরা

 ডায়েট ঠিক রাখা

শীতকালে খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এবং আঁশযুক্ত খাবার খান। যতটা সম্ভব তৈলাক্ত এবং ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।

প্রচুর পানি পান করা

শীতকালে প্রচুর পানি পান করুন। দিনে কমপক্ষে ২-৩  লিটার। আপনি যদি সব সময় পানি খেতে পছন্দ না করেন তাহলে ভেষজ চা, তাজা ফলের শরবত বানিয়ে পান করতে পারেন। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

ওষুধ হাতের কাছে রাখুন

তীব্র শীতে শরীরে ব্যথা, মাইগ্রেন, ঠাণ্ডা লাগা এবং জ্বর সহ যেকোনো ধরনের অসুস্থতা হতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ হাতে রাখুন। অফিসে বা বাড়িতে একটি ফার্স্ট এইড বক্স হাতের কাছে রাখতে পারেন।

যেহেতু এই তীব্র শীতে শিশুরা সহজেই নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, তাই এই সময়ে তাদের শীতের পোশাক পরা উচিত। গরম কাপড় দিয়ে শিশুদের মাথা ঢেকে রাখলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেশিক্ষণ রুম হিটার ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সম্ভব হলে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঘরের বাইরে রাখাই ভালো। হাঁপানি প্রতিরোধে শিশুদের অবশ্যই ধুলাবালি থেকে দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিনের ব্যবহারের কাপড় নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে ধুতে হবে। শীতের কাপড়, ম্যাট্রেস নিয়মিত রোদে রাখতে হবে।

ডায়রিয়া হলে শিশুকে পর্যাপ্ত স্যালাইন দিতে হবে। শীতকাল বলে সর্দি লাগার ভয়ে অনেকেই এই সময়ে শিশুদের স্যালাইন দিতে চান না, যা একেবারেই ঠিক নয়। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে।

এ সময় হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের প্রকোপ বেড়ে যায় বলে রোগীদের খুব ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাইরে না যাওয়াই ভালো। বাসস্থান পরিষ্কার এবং তাজা বাতাস সঞ্চালন সঙ্গে রাখা উচিত। কোনো কারণে হাঁপানির অবস্থা খারাপ হলে রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

আরো যেই কাজগুলো করতে পারেন সেগুলো হলঃ
  • বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না।
  • মুখে ভালো কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করুন।
  • সঙ্গে রাখুন ভ্যাসলিন। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে ভ্যাসলিন লাগান।
  • ঠোঁটের শুকনো আবরণ টানবেন না। জিভ দিয়ে বারবার ঠোঁট চেটে যাবেন না। ঠোঁট ফাটা রোধ করতে আপনি রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিন ঠোঁটে লাগাতে পারেন।
  • মেকআপ ত্বক শুকিয়ে যায় এবং ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন সৃষ্টি করে যার ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়। তাই একেবারে প্রয়োজন না হলে মেকআপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
  • শীতে মুখ ধোয়ার সময় সাবানের পরিবর্তে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করুন। একটি ভালো ক্লিনজার যা আপনার ত্বককে আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করবে।
  • শীতকালে গোসলের সময় অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করবেন না। গরম পানি ত্বক থেকে তেল শুষে নেয় এবং ত্বক শুষ্ক করে। তাই গোসলের সময় ত্বকের জন্য সহনীয় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
  • আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় এ সময় খুশকি বেড়ে যায়। খুশকি কমাতে মাথার ত্বকে লেবুর রস ম্যাসাজ করতে পারেন। অথবা মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
  • প্রতিদিন সকালে আধা গ্লাস হলুদ গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। আপনার ত্বক সুন্দর হবে।

আরও পড়ুন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতের সবজি

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X