November 22, 2024
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ১০ সেকেন্ড কণ্ঠ শুনেই বলবে ডায়বেটিস আছে কিনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ১০ সেকেন্ড কণ্ঠ শুনেই বলবে ডায়বেটিস আছে কিনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ১০ সেকেন্ড কণ্ঠ শুনেই বলবে ডায়বেটিস আছে কিনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ১০ সেকেন্ড কণ্ঠ শুনেই বলবে ডায়বেটিস আছে কিনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল প্রযুক্তি ভিত্তিক মেশিনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত মানুষের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাশক্তি। কম্পিউটারের সাথে নকল করা হয় যাতে কম্পিউটার মানুষের মত চিন্তা করতে পারে।

Artificial intelligence (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি প্রযুক্তি যা তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাশক্তির পদ্ধতিতে মেশিন বা অ্যাপ্লিকেশনকে উপযোগী করে তোলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সাধারণত প্রচুর পরিমাণে ডেটা বিশ্লেষণ করতে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করতে অ্যালগরিদম এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে। খুব বেশি কাজ করলে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাদের বিরতি দরকার। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিরতির প্রয়োজন হয়না।

খুব অল্প সময়ে নতুন অনেক কিছু শেখার পাশাপাশি হাজার হাজার কাজ দ্রুত করে ফেলা যায়। মূলত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি পূর্ববর্তী তথ্য বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির লক্ষ্য হল একটি কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি করা যা মানুষের আচরণ এবং চিন্তাভাবনার উপর ভিত্তি করে জটিল সমস্যার সমাধান করবে। সঠিক তথ্যের পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি, ভিডিও গেমস, ডিজাইন, স্মার্ট কার, ভিডিও মেকার এবং ডেটা সেন্টার ম্যানেজমেন্টসহ বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে মানুষের মতোই।

এবার আসি মূল কথায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মাত্র ১০ সেকেন্ডের জন্য কারও কণ্ঠস্বর শুনে ডায়াবেটিস নির্ণয় করছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে AI প্রায় সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে যে কারো টাইপ-২  ডায়াবেটিস আছে কিনা।

আমেরিকান স্বাস্থ্য সংস্থা মায়ো ক্লিনিক সম্প্রতি এই সমীক্ষা চালিয়েছে এতে দেখা যাচ্ছে, এআই ডায়াবেটিক এবং নন-ডায়াবেটিক ভয়েস রিকগনিশনের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। এমনকি তাদের মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা ভয়েস শুনে কাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে তাও খুঁজে বের করা যায়।

গবেষকদের একটি দল মায়োক্লিনিকের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে ২৬৭জন অংশগ্রহণকারীদের উপর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে।

একটি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে, অংশগ্রহণকারীরা দুই সপ্তাহের জন্য দিনে ছয় বার পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট বাক্য রেকর্ড করেছে। মোট ১৮৪৬৪ টি রেকর্ডিং ক্যাপচার করা হয়েছে এআই ১৪ টি ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য বের করে প্রতিটি রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে। সেই বিশ্লেষণের মাধ্যমে, টুলটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস সহ এবং বিভিন্ন ব্যতিক্রমী লোকেদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে।

ফলাফলগুলি দেখায় যে AI ডায়াবেটিক এবং নন-ডায়াবেটিক পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে পার্থক্য করতে খুব সফল। এমনকি তাদের বয়স এবং ‘শরীরের ভর’ (ওজন বনাম উচ্চতা) বিচার করাও সঠিক পার্থক্য তৈরি করছে।

গবেষণাটি মায়োক্লিনিকের ডিজিটাল হেলথ-এ প্রকাশিত হয়েছে। ভয়েস বিশ্লেষণ পূর্বে পারকিনসনস, আলঝেইমারস, মানসিক অসুস্থতা, বিষণ্নতা, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার এবং হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এটি সংকীর্ণ রক্তনালী বা ক্লান্তির লক্ষণও সনাক্ত করে রোগীর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

এই AI টুলটি ডায়াবেটিস রোগীদের প্রাথমিক সনাক্তকরণেও সাহায্য করতে পারে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৪০মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস ধরাই পড়েনি, যার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ টাইপ-2 ডায়াবেটিস।

ডায়াবেটিস এখন সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অন্য কোনো রোগ সারানো কঠিন। তাই ডায়াবেটিস পরীক্ষার সরঞ্জাম হাতের কাছে চাই। এখন পর্যন্ত ডিজিটাল কিটই ছিল সবচেয়ে বড় আশা।

মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা মায়ো ক্লিনিক ডায়াবেটিস নির্ণয়কে আরও সহজ করতে চলেছে। এ জন্য তারা এআই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছেন, যা বলে দিতে পারে কণ্ঠস্বরের মালিকের ডায়াবেটিস আছে কি না।

মায়ো ক্লিনিক এর জন্য একটি এআই অ্যাপ তৈরি করেছে। এই এ আই প্রযুক্তি ডায়াবেটিক এবং নন-ডায়াবেটিক রোগীদের কণ্ঠস্বর আলাদা করে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করবে।

একজন রোগীর রেকর্ড করা ভয়েস বলতে পারে কার ডায়াবেটিস আছে আর কার নেই। এমনকি এটি ডায়াবেটিসের মাত্রা সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে।

নতুন এই AI অ্যাপটি কতটা সফল তা পরীক্ষা করার জন্য একদল গবেষক মাঠ পর্যায়ে গবেষণা চালিয়েছেন। মায়ো ক্লিনিকের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে এ  গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে ।

একটি স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের ভয়েস রেকর্ড করা হয়। এর জন্য, একটি নির্দিষ্ট বাক্য দিনে ছয়বার রেকর্ড করা হয়, মোট দুই সপ্তাহের জন্য। সেই রেকর্ডগুলি বিশ্লেষণ করে, অ্যাপটি পার্থক্য করে যে ভয়েসের মালিকের টাইপ-2 ডায়াবেটিস আছে কি না। এটি খুব সফলভাবে ডায়াবেটিক এবং অ-ডায়াবেটিক ভয়েসের পার্থক্য করতে দেখা যায়।

অ্যাপটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি পুরোপুরি সফল হলে ডায়াবেটিস নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

আরও পড়ুন

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ ফেসবুক ব্যবহার করে

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X