ভূমধ্যসাগরে মৃত শরণার্থীদের অর্ধেকই পাকিস্তানি
দক্ষিণ গ্রিসের কাছে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া অভিবাসী নৌকায় থাকা প্রায় ৭০০ জনের অর্ধেকই পাকিস্তানি নাগরিক। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার বলেছেন যে অন্তত ৩৫০জন যাত্রী পাকিস্তানের।
জাতীয় পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে রানা সানাউল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নৌকাডুবির ঘটনায় তিন শতাধিক নাগরিক মারা গেছেন।
সানাউল্লাহ বলেন, নৌকার ধারণক্ষমতা ছিল ৪০০ জন। তবে এতে প্রায় ৭০০ যাত্রী ছিলেন। দক্ষিণ গ্রীক শহর পাইলোস থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তারপর ডুবে যায়। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ১০৪ জনের মধ্যে মাত্র ১২ জন পাকিস্তানি। সানাউল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে নিহতের সংখ্যা যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার চেয়ে বেশি।
উদ্ধারকৃত লাশ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এ জন্য ন্যাশনাল ডাটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি এবং ফরেনসিক ল্যাবরেটরি তাদের বাবা-মা ও সন্তানদের নমুনা সংগ্রহ করে।
মন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি বিশেষ ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৮১টি পরিবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে । নিহতদের মধ্যে তাদের আত্মীয়স্বজন থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
এ ঘটনায় একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিনটি বিষয়ে কাজ করছে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী প্রায় ৯৯ শতাংশ পাকিস্তানি বৈধ ভিসা নিয়ে প্রথমে মিশর, লিবিয়া বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। তিনটি দেশই মানব পাচারকারীদের জন্য পছন্দের রুট। এখন এসব দেশের সঙ্গে ভিসা নেওয়ার ব্যাপারে কঠোর হবে পাকিস্তান সরকার।