নীল রঙয়ের কলা, খেতে আইসক্রিমের মতো
“এই সুন্দর ফল সুন্দর ফুল মিঠা নদীর পানি। খোদা তোমার মেহেরবানী” প্রকৃতপক্ষেই আল্লাহতালার প্রতিটি রিজিকই তার বান্দার জন্য তার পক্ষ থেকে অনেক বড় নেয়ামত। তার মধ্যে কলা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আশ্চর্যজনক ফল । কারণ একমাত্র কলাই অতি সহজে প্রাকৃতিক ভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে এমনভাবে প্যাকেট করা থাকে ; যেটাকে সহজ ভাবে খুলে ছিলে ভিতরের চমৎকার মিষ্টি , সুস্বাদু নরম পদার্থটাকে খাওয়া হয় । আর সেই ফলের ধরনও অনেক রকম। সেরকম একটি ফল যেটা কিনা উপরে নীল রং এবং ভিতরে সেই কলার স্বাদ একেবারেই হুবহু ভ্যানিলা আইসক্রিমের মত। খেয়ে দেখতেই পারেন সেই কলা । আর প্রশংসায় বলতেই পারেন। ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম’।
সারা বিশ্বে কলা একটি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। অনেকেই দিনের যেকোনো সময় নিয়মিত এই ফল খান। এতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান । শুধু তাই নয়, এই ফলটি অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। কিন্তু এখন এমন এক ধরনের কলা পাওয়া গেছে, যার স্বাদ আইসক্রিমের মতো।
এই নতুন ধরনের কলা সাধারণ সবুজ কলা বা সিঙ্গাপুর কলা বা পাকা হলুদ মর্টামান বা অন্যান্য কলা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন রঙের। এই কলার খোসায় হালকা নীল আভা থাকে। ফলের ভেতরটা সাদা। কিন্তু খোসার রং সাদাকালো নীল। এই কলারও একটি বিশেষ নাম রয়েছে। একে বলা হয় নীল জাভা কলা। ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতো খাওয়া, এই কলা দক্ষিণ এশিয়ার স্থানীয়। হাওয়াইয়ান দ্বীপপুঞ্জে এই ধরনের কলা খুবই বিখ্যাত।
জানা গেছে, এটি একটি হাইব্রিড ফল। মুসা বালবিসিয়ানা এবং মুসা অ্যাকুমিনাটা অন্য দুটি কলার মধ্যে সংকরায়ন করে এই কলা উৎপন্ন হয়। প্রচন্ড শীতেও এই কলা উৎপাদন করা যায়। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায়ও এই ফলটি ভালো থাকে। যাইহোক, এই কলা ফলানোর জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হল 40 ডিগ্রি ফারেনহাইট। যদিও কাঁচা অবস্থায় নীল রঙের, তবে পাকলে খোসা হালকা হলুদ হয়ে যায়।
স্বাদের পাশাপাশি এই কলার অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে। ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি এবং বি৬ সবই রয়েছে এই ফলটিতে। এ ছাড়া এই নীল জবা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফসফরাস, থায়ামিন ও সেলেনিয়াম।
1 Comment