আল কুরআনের আলোঃ কাউকে বিকৃত নামে ডাকা পাপ
প্রতিটি মানুষের একটি সম্মানজনক নাম আছে। এটি জন্মের পরে পারিবারিকভাবে নির্ধারিত হয়। এই নামটিই তার প্রকৃত নাম। একজন ব্যক্তির নাম তার পরিচয় বহন করে। প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে নাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার ও সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব সবাইকে তার আসল নামে ডাকা। কাউকে বিকৃত নামে ডাকা বা কাউকে তার আসল নাম ছাড়া অন্য নামে ডাকা ইসলামে গৃহীত হয় না।
আল কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য কোনো সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম এবং কোনো নারীরাও যেন অন্য নারীদের বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অন্যের নিন্দা করোনা এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ উপনামে ডেকোনা। ইমানের পর মন্দ নাম কতই-না নিকৃষ্ট। আর যারা তওবা করে না, তারাই তো অত্যাচারী। (সুরা হুজুরাত: ১১)
আমাদের সমাজে লক্ষণীয়, কেউ কেউ কাউকে আসল নামের পরিবর্তে ডাকনামে ডাকে। উদাহরণ স্বরূপ, কেউ রফিক নামকে বিকৃত করে রফিককা করে বা তার শরীরের আকৃতির কারণে তাকে অন্যভাবে ডাকে । ব্যক্তি যেমন তার মর্যাদা হারায়, সেও রেগে যায়। ফলে দু’জনের মধ্যে শত্রুতা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে সে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং তা সামাজিকভাবে অশান্তির কারণ হয়। তাই ইসলাম প্রকৃত নামে ডাকার নির্দেশ দিয়েছে।
তাই, বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কাউকে উপাধি দিয়ে ডাকতে বা বংশের নামের দ্বারা পরিচিতি পেলে তা দিয়ে কাউকে ডাকা দোষের কিছু নয়। । তাই মানুষকে ডাকার ক্ষেত্রে ভালো নাম ব্যবহার করা ঈমানদারের নৈতিক দায়িত্ব।
1 Comment