November 21, 2024
মিয়ানমারে নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রধানকে গুলি করে হত্যা

মিয়ানমারে নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রধানকে গুলি করে হত্যা

মিয়ানমারে নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রধানকে গুলি করে হত্যা

মিয়ানমারে নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রধানকে গুলি করে হত্যা

মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর সাই কিয়াও থুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সামরিক সরকার দাবি করে যে জান্তা বিরোধী প্রতিরোধ শক্তির সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। শনিবার (২২ এপ্রিল) সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে এটি সামরিক সরকারের সাথে যুক্ত উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ হত্যা।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব ইয়াঙ্গুনের থিঙ্গানগিউন শহরে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর সাই কিয়াও থুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে অভ্যুত্থানবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

২০২০ সালের নভেম্বরে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জালিয়াতির অভিযোগে ক্ষমতা দখল করে। দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং সু চিকে বন্দী করে।

চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে মিয়ানমারের সামরিক নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন অং সান সু চির দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, নতুন নির্বাচনী আইনে দলটি পুনরায় নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সহিংসতায় এক লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জান্তা বিরোধী অভিযানে বেসামরিকদের উপর বোমা হামলা ও শেলিং করে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্ষমতা দখলের পর থেকে সেনাবাহিনী হাজার হাজার বিরোধী ও গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে জেলে পাঠিয়েছে। তারা অন্তত ৩২৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে নির্মমভাবে বিক্ষোভ দমন করে।

রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করার  কারণে  অন্ততনে ১৭,৪৬০ জনকে আটক করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X