যুদ্ধের মধ্যেই গোপনে অধিকৃত ইউক্রেনে পুতিন
যুদ্ধের সময়, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন একটি আকস্মিক সফর করেন। তিনি ইউক্রেন অধিকৃত লুহানস্ক ও খেরসন অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ক্রেমলিন কখন এবং কখন দুটি দখলকৃত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন তা নির্দিষ্ট করেনি।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে একটি সামরিক কমান্ডের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
বৈঠকে তিনি জাপোরিজিয়া এবং ডিনিপ্রো অঞ্চলের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর কমান্ডারদের কাছ থেকে বিশদ বিবরণ শুনেছেন। তবে এই বৈঠক কবে হয়েছে তা জানায়নি ক্রেমলিন।
এছাড়া, রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের পূর্ব লুহানস্ক অঞ্চলে ন্যাশনাল গার্ডের সদর দপ্তরও পরিদর্শন করেছেন বলে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ক্রেমলিন পুতিনের সফরের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুতিন হেলিকপ্টারে করে লুহানস্কে যাচ্ছেন। এর আগে গত রোববার মস্কোতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুর সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রুশ বাহিনীর দখলে ছিল। এর মধ্যে রয়েছে খেরসন এবং জাপোরিজিয়া। তবে রাশিয়া কোনো অঞ্চলকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ইউক্রেন এবং তার মিত্ররা পুতিনের বাহিনীর দখলকে “অবৈধ” বলে নিন্দা করেছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরপরই রুশ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে খেরসন। যাইহোক, নভেম্বরে তারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে খেরসন থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এখন রাশিয়ান সৈন্যরা ডিনিপার নদীর ওপারে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।
এর আগে, ১৮ মার্চ, রাষ্ট্রপতি পুতিন ইউক্রেনের দখলকৃত মারিউপোল অঞ্চল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হেলিকপ্টারে করে মারিউপোলে প্রবেশ করেন। তারপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি চালান।