কথা বলতে পারে গাছঃ শুনেছেন ইসরায়েলি বিজ্ঞানীরা
চৌদ্দ বছর আগে কোরআন বলেছে গাছের জীবন আছে। গাছে প্রাণ আছে বলেই গাছ আল্লাহর কাছে সিজদা অবস্থায় থাকে। আর ১০০ বছর আগে জগদীশ চন্দ্র বসুও বলেছিলেন গাছে প্রাণ আছে। এটাই আজকের বিজ্ঞানীদের অগ্রগতি সূত্র । যেমন আল্লাহ বলেন;আপনি কি দেখেননি নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, পর্বতমালা গাছপালা ও জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ আল্লাহকে সেজদা করে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ১৮)
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে গাছপালা শব্দে সাড়া দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি গাছ তার ফুলের অমৃতে চিনির ঘনত্ব বাড়াতে পারে যা কাছাকাছি উড়ে আসার গুঞ্জন পোকামাকড়কে আকর্ষণ করতে পারে।
উপরন্তু, বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই জানেন যে উদ্ভিদ যখন চাপের মধ্যে থাকে তখন বিভিন্ন উপায়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তারা পাতার রঙ পরিবর্তন করে, তাদের স্বাদ তিক্ত করে বা গন্ধ করে অন্য গাছপালাকে সংকেত দিতে পারে যে তারা বিপদে আছে।
তবে এবার, একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী গবেষণায় দেখা গেছে যে গাছ কথা বলতে পারে! ইসরায়েলি বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তারা উদ্ভিদের “কণ্ঠস্বর” সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।
তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এই যুগান্তকারী গবেষণাটি বৃহস্পতিবার তাদের দেশের একটি মর্যাদাপূর্ণ বৈজ্ঞানিক জার্নাল-এ প্রকাশ পেয়েছে।ইসরায়েলি গবেষকরা শুধু গাছের ‘কন্ঠস্বর’ই সনাক্ত করতে সক্ষম হননি, তারা এটাও আবিষ্কার করেছেন যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ একে অপরের সাথে বিভিন্ন ‘ভাষায়’ যোগাযোগও করে থাকে ।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে তারা মানসিকভাবে চাপে থাকা উদ্ভিদের করা শব্দ রেকর্ড করেছেন।
তারা বলেন যে গাছপালা ক্লিকের মাধ্যমে ‘কথোপকথন’ চালায়। এই শব্দটি পপকর্ন ভাজার সময় তা ফেটে গেলে যে শব্দ করে তার অনুরূপ। এই গুঞ্জনটি মানুষের বক্তৃতার মতোই, তবে এর ফ্রিকোয়েন্সি অনেক বেশি, যা মানুষের শ্রবণশক্তির সীমার বাইরে।
1 Comment