November 22, 2024
মহাজাগতিক বিশ্বের সব থেকে বড় ব্ল্যাক হোলের সন্ধান, আকৃতি ৩০০০ কোটি সূর্যের সমান

মহাজাগতিক বিশ্বের সব থেকে বড় ব্ল্যাক হোলের সন্ধান, আকৃতি ৩০০০ কোটি সূর্যের সমান

মহাজাগতিক বিশ্বের সব থেকে বড় ব্ল্যাক হোলের সন্ধান, আকৃতি ৩০০০ কোটি সূর্যের সমান

মহাজাগতিক বিশ্বের সব থেকে বড় ব্ল্যাক হোলের সন্ধান, আকৃতি ৩০০০ কোটি সূর্যের সমান

ব্লাকহোল! আলকুরআন যা বলে দিয়েছেন ১৪০০ বছর পূর্বেই । আল্লাহ বলেন, “অতএব, আমি তারকারাজির পতিত হবার জায়গার (ব্ল্যাক হোল) শপথ করছি। প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি মহান শপথ, যদি তোমরা জানতে।” (সূরা ওয়াকিয়াহ – ৭৫–৭৬)

“অতএব, আমি তারকারাজির পতিত হবার জায়গার (ব্ল্যাক হোল) শপথ করছি। প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি মহান শপথ, যদি তোমরা জানতে।” (সূরা ওয়াকিয়াহ – ৭৫–৭৬)

মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ব্ল্যাক হোলটি এত বড় যে এর ভিতরে 30 বিলিয়ন সূর্য  জায়গা  করে  নিতে  পারে। এই ব্ল্যাক হোল খুঁজে বের করতে একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়েছে। এটি একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ। এর আকৃতি এত বড় যে একে ‘আল্ট্রামাসিভ ব্ল্যাক হোল’ বলা হয়।

রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি ইতিমধ্যে তাদের গবেষণা থেকে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, মহাকর্ষীয় লেন্সিং নামে একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্ল্যাক হোলটি আবিষ্কৃত হয়েছে। মানবসৃষ্ট টেলিস্কোপের দৃশ্যের ক্ষেত্র যেখানে শেষ, সেখানে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশাল বস্তু শনাক্ত করা সম্ভব। এটি এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিমাপ করা প্রথম ব্ল্যাক হোল। ব্ল্যাক হোল হল মহাজাগতিক বস্তু যেখানে মহাকর্ষ বল খুবই শক্তিশালী। ফলে এর থেকে কিছু বেরোতে পারে না।

এমনকি আলোর মতো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনও এই আকর্ষণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু আলো প্রতিফলিত হতে পারে না, তাই ব্ল্যাক হোল দেখা যায় না। কিন্তু এর অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে। মহাকর্ষীয় লেন্সিং তার মধ্যে একটি।

এই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলটি আবেল ১২০১ গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত। যখন অনেকগুলো ছায়াপথ পাশাপাশি অবস্থান করে তখন একে গ্যালাক্সি ক্লাস্টার বলে। গবেষক দলের প্রধান ড. জেমস নাইটিংগেল বলেন, “ব্ল্যাক হোলের আকার এত বড় যে তা বোঝা আমাদের পক্ষে কঠিন।” রাতের আকাশে আপনি যে সমস্ত তারা এবং গ্রহ দেখতে পাচ্ছেন তা এই ব্ল্যাক হোলের আকারের এক শতাংশের ভগ্নাংশ হবে না। এই ব্ল্যাক হোলটি মহাবিশ্বের অধিকাংশ গ্যালাক্সির থেকেও বড়। আবিষ্কারটি তাত্ত্বিকভাবে কত বড় ব্ল্যাক হোল হতে পারে তার প্রমাণ দিয়েছে। জেমস নাইটিংগেল আরও বলেন, এই আবিষ্কারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমেও নতুন আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এত বড় হওয়া সত্ত্বেও ব্ল্যাক হোল তাদের কাছে সক্রিয় মনে হয়নি। অর্থাৎ এখন নতুন কিছু গিলছে না। এছাড়াও, অন্যান্য ব্ল্যাক হোলের মতো এটি থেকে কোনও শক্তিশালী এক্স-রে বিকিরণ সনাক্ত করা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X