কিম জং-উনের অদ্ভুত কাণ্ডঃ হারিয়ে যাওয়া বুলেটের সন্ধানে পুরো শহর লক ডাউন
সামরিক কর্মীরা তাদের গোলাবারুদ হারিয়েছে। একটি বা দুটি নয়, ৬৫৩ টি । শত চেষ্টা করেও হারানো বুলেটটি পাওয়া যায়নি। অগত্যা স্থানীয় প্রশাসন দায়িত্ব নেয়। পুরো শহর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বুলেট উদ্ধারের আগ পর্যন্ত টানা কয়েকদিন লকডাউনে কাটাতে হয়েছে নগরবাসীকে।
উত্তর কোরিয়ায় ঘটে যাওয়া বহু অদ্ভুত ঘটনার এটি একটি । উত্তর কোরিয়ার হাইসান শহরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার সময় সামরিক কর্মীরা ৬৫৩টি বুলেট হারিয়েছেন। শহরে দুই লাখের বেশি মানুষের বসবাস।
পরে গুলি উদ্ধারে লকডাউন ঘোষণা করে নগর কর্তৃপক্ষ। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উন নগর কর্তৃপক্ষকে বড় আকারে অনুসন্ধান অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, হারানো গুলি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারী শহরে সামরিক কর্মীদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১০ মার্চ পর্যন্ত চলে। এর মধ্যে ৭ মার্চ বুলেট হারানোর ঘটনা ঘটে। এ কারণে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও সময় লাগে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ঘটনার আরো বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
লকডাউন চলাকালীন একটি আদেশ জারি করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। সেখানে সব কারখানা, খামার, সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে তদন্তে সহায়তা করতে বলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভীতি ছড়াতে মিথ্যা বলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নগর কর্তৃপক্ষ শহরের বাসিন্দাদের উপর চাপের কৌশল বেছে নেয়। সামরিক সদস্যদের অপসারণের বিলম্বিত প্রক্রিয়াটি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হাত থেকে কিম জং-উনকে রক্ষা করার একটি কৌশলের অংশ বলে জানা গেছে। কিন্তু এর পেছনে তারা হারিয়ে যাওয়া বুলেট খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
তবে হারিয়ে যাওয়া গুলি কবে এবং কীভাবে উদ্ধার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।