সেহরি খাওয়ার ফজিলত
সাহরি করাটা একটি চমৎকার আনন্দঘন আমল। বিশেষ করে রমজান মাসে সারা দুনিয়ার কোটি কোটি মুসলমান একসাথে জেগে উঠে সাহরি খাওয়ার বা ভোর রাতের খাদ্যগ্রহণ এক চমৎকার উৎফুল্লপূর্ণ আবেশের সৃষ্টি করে। যা কেবল মুসলমানদের সৌভাগ্যের ব্যাপারই বলা চলে।
‘সাহরি’ শব্দটি আরবি ‘সাহর’ বা ‘সুহুর’ থেকে এসেছে। এর অর্থ গভীর রাত বা ভোর। সাহারী মানে শেষ রাত বা ভোরবেলা খাবার। সুবহে সাদিকের কাছাকাছি যে খাবার খাওয়া হয় তাকে শরীয়তের পরিভাষায় সাহরি বলা হয়।
রোজা অবস্থায় সাহরি খাওয়া সুন্নত। রমজান মাসে সাহরির সময় মুসলিম বিশ্বে এক ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মসজিদের মিনার থেকে প্রশংসা ও প্রার্থনার সুর ভেসে আসে । এরপর রোজাদার মুসলমানরা সাহরি খেতে ঘুম থেকে ওঠেন।
হাদিস শরিফে সাহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,আহলে ‘কিতাব এবং আমাদের (মুসলিম) রোজার মধ্যে পার্থক্য হল সাহরি খাওয়া। অর্থাৎ তারা সাহরি খায় না আর আমরা সাহরি খাই।’ (মুসলিম ও তিরমিযী)
ক্ষুধার্ত না থাকলেও দুইটি খেজুর খেলে বা এক গ্লাস পানি পান করলে সাহরির সুন্নত পূর্ণ হবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সাহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। অর্থাৎ শরীরে প্রফুল্লতা ও শক্তি আছে।’ (বুখারী ও মুসলিম)
সাহরি খাওয়ার সময় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘খাও ও পান কর- যতক্ষণ না রাতের অন্ধকারের কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা স্পষ্ট হয়। (সূরা বাকারা: ১৮৭)
শেষ সময়ে সাহরি খাওয়া মুস্তাহাব। তাফসীরে কাশশাফ সাহরীর নিয়ম সম্পর্কে লিখেছেন, “পুরো রাতকে ছয় ভাগে ভাগ করে শেষের ভাগে সাহরি খান । ভোরে ফজর ওয়াক্ত পর্যন্ত সাহরি খাওয়া যাবে।
একেবারে যৎসামান্য খাদ্য খেয়ে হইলেও সাহরি খাই। এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের উপর অটল থাকি। আল্লাহ আমাদের জীবন চলার পথে বরকত দান করবেন। এবং আখেরাতকে করবেন শান্তিময় ।