November 23, 2024
কোথায় এবং কাকে যাকাত দিতে হবে (যাকাত আদায়ের খাত)

কোথায় এবং কাকে যাকাত দিতে হবে (যাকাত আদায়ের খাত)

কোথায় এবং কাকে যাকাত দিতে হবে (যাকাত আদায়ের খাত)

কোথায় এবং কাকে যাকাত দিতে হবে (যাকাত আদায়ের খাত)

যাকাত হলো সম্পদের নির্ধারিত অংশ যা মানুষের জন্য শরিয়তের বিধান অনুযায়ী আল্লাহর পথে ব্যয় করা ফরজ।

এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন সদাক্বাহ পাবার যোগ্যতা রাখে শুধুমাত্র ফকির, মিসকীন, যাকাত সংগ্রহকারী, যাদের অন্তরে (ইসলামের প্রতি) ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা আছে, আর ক্রীতদাস মুক্তিতে, ঋণগ্রস্থরা, আর যারা আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় আছে, আর রাস্তার পথিক । এটা আল্লাহর তরফ থেকে ফরয । আল্লাহ তা’আলা সমস্ত কিছু জ্ঞাত আছেন, আর তিনি হিকমাতওয়ালা (সুরা তাওবাহ আয়াত ৬০);

এখানে আয়াত থেকে বুঝা যায়, ৮ ধরণের লোক রয়েছে:যারা যাকাত পাওয়ার যোগ্য

১. ফকির (ফকির এমন ব্যক্তি যার সামান্য সহায় সম্বল বা উপায় আছে)

২. মিসকিন (গরীব হল সেই ব্যক্তি যার ব্যয় তার আয়ের চেয়ে বেশি এবং আত্মসম্মানের জন্য কারও কাছে চাইতে পারেনা)

৩. আমিল (যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ কর্মকর্তা)যাকাত আদায়কারী: তারা সকলেই একটি দেশের সরকার  তার  প্রতিনিধি  কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তি। এদের মাল জমাকারী, হেফাজতকারী, লেখক, হিসাবরক্ষক, প্রহরী, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনকারী এবং যারা পণ্য বিতরণ করেন তারাও রয়েছেন। তাদের যাকাতের মাল দেওয়া যাবে। যদি কোন ধনী লোক স্বেচ্ছায় এ কাজে আত্মনিয়োগ করে এবং উপরোক্ত ব্যক্তির কারো জীবিন যাপনের অন্য ব্যবস্থা থাকে তারা স্বেচ্ছায় (ইচ্ছে করলে) কিছু পারিশ্রমিক নিতে পারবেন বেতন হিসেবে তবে তাদের যাকাত দেওয়া জায়েজ  নয়। আর বনু হাশেমের হলে যাকাত দেওয়া যাবে না। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ যাকাত ও দান মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশধরদের জন্য নয় (মুসলিম)

৪ ) যাদের অন্তর ইসলামের দিকে ঝুঁকছে: যারা ইসলাম গ্রহণ করতে চায় বা শত্রুদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করতে চায় তাদের জাকাত দেওয়া যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, রাসুল (সাঃ)  হুনাইন সাফওয়া ইবনে উমাইয়াকে , সুফিয়ান ইবনে হারবকে, সুফিয়ান ইবনে হারবকে এবং আকবা ইবনে হাবেসও  গনীমতের মাল দিয়েছিলেন। দিয়েছিলেন। (মুসলিম)

৫) দাসমুক্তি: দাসদের মুক্ত করা, যারা মুক্তির কথা লিখেছে তাদের সাহায্য করা, শত্রুদের হাতে বন্দিদের মুক্ত করা ইত্যাদি। এই সমস্ত কাজে  যাকাতের অর্থ দিয়ে সাহায্য করা যাবে ।

৬) ঋণগ্রস্থকে  : যাদের ঋণ আছে এবং তা পরিশোধ করতে অক্ষম তাদেরকে যাকাতের অর্থ দিয়ে সাহায্য করা যাবে।

৭) যারা আল্লাহর পথে আছেনঃ যারা দীন প্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ করেছে-যেমনঃ কেউ সরাসরি জিহাদের ময়দানে থাকলে,  কুরআন হাদিস সংগ্রহ করে বই আকারে বিনামূল্যে বিতরণ করলে  । যারা কোন রকম হাদিয়া ছাড়াই ওয়াজ নছিহত করে, কোন এতিম খানা কোন গরীব সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়ানোর জন্য ।  ইত্যাদি ক্ষেত্রে যাকাত দেওয়া যাবে ।

৮) মুসাফির বা রাস্তার পথিকঃ ঐ মুসাফির যে এক স্থান হতে অন্য স্থানে বা দেশ হতে অন্য দেশে গিয়েছে  কিন্তু টাকার অভাবে নিজ গৃহে যেতে পারছে না । তাকে ঐ পরিমান যাকাত দেয়া হবে যাতে নিজের গৃহে ফিরে আসতে পারে । যদি কোথাও ধার কর্জ পায় তবে যাকাত নিতে পারবে না । পাপের সফরে চলবে না বরং সৎ উদ্দেশে সফর।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X